৪৬ কেজি গাঁজাসহ ভারতের মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী প্রতিমা বাগরির ভাই অনিল বাগরিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলায় আরও এক অভিযুক্ত পঙ্কজ সিংহকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের সাটনা জেলায় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, অনিল বাগরি ও পঙ্কজ সিংহের কাছ থেকে ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা গাঁজার মূল্য ৯ লাখ ২২ হাজার রুপি। পঙ্কজের মারৌনহা গ্রামের বাড়িতে ধানের বস্তার ভেতর গাঁজাগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পাচারে ব্যবহৃত গাড়িটি আরেক অভিযুক্ত শৈলেন্দ্র সিংহ রাজাওয়াতের। তিনি বর্তমানে পলাতক।
এ ঘটনার কয়েকদিন আগে প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা বাগরির দেবর শৈলেন্দ্র সিংহকে উত্তর প্রদেশের বান্দায় ১০.৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরই মধ্যে এনডিপিএস আইনের আরেক মামলায় বান্দা কারাগারে আছেন শৈলেন্দ্র। এর আগে সাটনায় প্রায় ৫.৫ কোটি টাকার কফ সিরাপ পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মাদক মামলায় ভাই ও দেবরের গ্রেপ্তারের ঘটনায় মন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রভাব, তদারকি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খাজুরাহোতে মন্ত্রী প্রতিমা বাগরিকে সাংবাদিকেরা এ অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘জবরদস্তি কি বাত কিউ কারতে হো তুমলোগ?’ অর্থাৎ তোমরা অকারণে এসব কথা বলো কেন?
এই ঘটনার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিরোধী দলগুলো তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে।
ক্লিপটি পোস্ট করে কংগ্রেস লিখেছে, ‘মাদক পাচার মামলায় গ্রেপ্তার ভাইয়ের সম্পর্কে প্রশ্ন করায় দেখুন মন্ত্রীর রাগ! বিজেপি সরকারের মন্ত্রীদের স্বজনেরা এখন প্রকাশ্যেই পাচারে ধরা পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী, আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন— রাজ্যকে আর কতটা অপরাধের গভীরে ঠেলে দেওয়া হবে?’
সাটনা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার সকালে পঙ্কজ সিংহের মারৌনহা গ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ধানের স্তরের নিচে লুকানো চারটি বড় বস্তার মধ্যে ৪৮টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পঙ্কজ পুলিশকে জানান, অনিল বাগরি ও শৈলেন্দ্র সিংহ রাজাওয়াত তাঁকে এগুলো রাখতে দিয়েছিল।
এমডিপিএস আইনের তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের ১২ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে।