ঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, আদিবাসী আন্দোলনের অগ্রপথিক এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেন মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও কিডনির জটিলতায় দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর আজ সোমবার সকালে দিল্লির গঙ্গা রাম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
গত জুনের শেষ সপ্তাহে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাস দেড়েক আগে স্ট্রোক হওয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটে। টানা এক মাস তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
শিবু সোরেনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে ছেলে ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সামাজিক মাধ্যমে শোকবার্তায় লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিশোম গুরুজি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেলাম।’
শিবু সোরেন শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, গোটা আদিবাসী সমাজের কাছে ছিলেন দিশারি। তাঁর প্রয়াণে ঝাড়খন্ডসহ গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দলীয়ভাবে জেএমএমের শীর্ষ নেতারা একে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে অভিহিত করেছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর মরদেহ রাঁচিতে এনে শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে।
সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সন্তান শিবু সোরেনের জন্ম বিহারের অন্তর্গত রামগড় জেলায় (বর্তমানে ঝাড়খন্ড)। তিনি বামপন্থী শ্রমিকনেতা এ কে রায় এবং কুর্মি মহতো নেতা বিনোদ বিহারী মহতোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১৯৭২ সালে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) গঠন করেন। পরবর্তীকালে তিনিই হয়ে ওঠেন আলাদা ঝাড়খন্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের প্রধান মুখ। যার ফলস্বরূপ ২০০০ সালে ভারতের মানচিত্রে নতুন রাজ্য হিসেবে ঝাড়খন্ডের অভ্যুদয় ঘটে।