এবার বলিউডের একটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের আলোচিত গৃহবধূ সীমা হায়দার। সম্প্রতি প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা নির্ভর একটি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ইতিমধ্যেই সীমা হায়দারের অডিশন নিয়েছে একটি প্রোডাকশন হাউস। শুধু তাই নয়, অডিশনে তাঁকে মনোনীতও করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই রূপালি পর্দায় দেখা যাবে আলোচিত এই নারীকে।
এ টেলর মার্ডার (A Tailor Murder story) স্টোরি নামে ওই সিনেমাটি নির্মিত হবে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। গত বছর ভারতের উদয়পুরে কানাইয়াল নামে এক দরজির মাথা কেটে খুন করেছিল ইসলামিক কট্টরপন্থীরা। সেই ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি।
জানা গেছে, সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য সীমা হায়দারকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন জানি ফায়ারফক্স প্রোডাকশন হাউস নামে একটি সিনেমা প্রযোজনা সংস্থার কর্মকর্তারা। সম্প্রতি তাঁরা নয়ডায় গিয়ে সীমার সঙ্গে দেখা করেন এবং এ টেলর মার্ডার সিনেমাটিতে একজন ‘র’ গোয়েন্দা অফিসারের ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।
এদিকে, সীমা হায়দার সিনেমাটিতে অভিনয় করবেন কি-না সে বিষয়ে কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানিয়েছি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস। কারণ বর্তমানে তিনি বেশ কিছু জটিলতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় সময়ই তিনি ভারতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জেরার মুখে পড়ছেন।
উল্লেখ্য, অনলাইনে পাবজি গেম খেলতে গিয়ে ২০১৯ সালে ভারতীয় যুবক শচীনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে ৩০ বছর বয়সী সীমা হায়দারের। পাকিস্তানের করাচিতে তিনি চার সন্তান নিয়ে থাকতেন। তাঁর স্বামী সৌদি আরবে কাজ করেন।
শচীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব একসময় প্রেমে পরিণত হলে সন্তানদের নিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন সীমা। পরে ভারতের গ্রেটার নয়ডায় একটি ভাড়া বাড়িতে তাঁরা বসবাস করতে থাকেন।
বেআইনিভাবে প্রবেশের জন্য গত ৪ জুলাই সীমাকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হন শচীনও। পরে গত ৮ জুলাই গ্রেটার নয়ডার একটি আদালত তাঁদের মুক্তি দেন।