পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে অবশেষে বিভ্রান্তির অবসান ঘটালেন রিটার্নিং অফিসার। নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকেই বিজয়ী ঘোষণা করলেন। আজ রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ রিটার্নিং অফিসারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নন্দীগ্রামে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু। তৃমমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়েছেন।
রোববার দিনভর এই আসনের ভোট গণনায় মমতার সঙ্গে শুভেন্দুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলতে থাকে। সন্ধ্যায় আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে খবর দেয়, শুভেন্দুকে ১ হাজার ২০২ ভোটে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কিছুক্ষণ পর আনন্দবাজার পত্রিকা শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের খবর দেয়। ১ হাজার ৬২২ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হওয়ার খবর শুভেন্দুই ফোন করে জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করে আনন্দবাজার পত্রিকা।
পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ভোটের ফল মেনে নেওয়ার কথা বলেন। তবে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
এর ঘণ্টাখানেক পর রাজ্যের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকাটি জানায়, নন্দীগ্রামে নতুন করে ভোট গণনা হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং অফিসার। তবে আপাতত ফল ঘোষণা স্থগিত থাকবে।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিটার্নিং অফিসার বলেন, নন্দীগ্রামে আর ভোট পুনর্গণনা হবে না।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আজ ভোটগণনা চলাকালীন নন্দীগ্রামে সার্ভারে ত্রুটির জেরে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট সঠিকভাবে জানা যাচ্ছিল না। প্রায় ৪০ মিনিট গণনা বন্ধ ছিল। নতুন করে গণনা শুরু হলে, ১৭ রাউন্ডের পর জানা যায়, মমতা জয়ী হয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দু জানান, ১ হাজার ৬২২ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে মমতা জানান, তিনি হেরে গেছেন। কারচুপি হয়েছে এমন খবর তাঁর কাছে পৌঁছেছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন।