ভারতের উত্তর প্রদেশের অরাইয়া জেলায় এক তরুণীর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং এ ঘটনায় দুই বছর ধরে চলমান একটি পণ-হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড় এসেছে। যে নারীকে হত্যা ও গুমের অভিযোগে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, সেই নারীকেই দুই বছর পর জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর বয়স এখন ২০। বিয়ের দেড় বছর পর ২০২৩ সালে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর তাঁর পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না মেলায় পরিবার অভিযোগ করে, পণের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪বি ধারায় (পণজনিত মৃত্যু) তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এনডিটিভি জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরে মামলাটি চলছিল। এ সময়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ ও নজরদারি দল অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে অবশেষে তাঁকে মধ্যপ্রদেশে খুঁজে বের করে।
অরাইয়া সার্কেল অফিসার অশোক কুমার সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েটি বিয়ের দেড় বছর পর নিখোঁজ হন। পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তদন্ত চলাকালে আমরা তাঁকে মধ্যপ্রদেশে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। বুধবার তাঁকে অরাইয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তদন্ত অব্যাহত আছে।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই তরুণী এত দিন মধ্যপ্রদেশে কীভাবে ছিলেন এবং কেন পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি অবশ্যই আদালতের মামলার ওপর প্রভাব ফেলবে।