দুনিয়ার ১১৬টি দেশের মধ্যে ক্ষুধার্তদের তালিকায় ভারতের স্থান ১০১। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আগে ৯৪তম দেশ ছিল ভারত। তাই সামাজিক গণমাধ্যমে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও নেপাল তো বটেই, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের চেয়েও ভারতের পরিস্থিতি খুব খারাপ। করোনা পরিস্থিতি দেশটিতে ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের হাতে টাকা নেই। খেতে পাচ্ছে না তারা।
ভারতের এই করুণ অবস্থার খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, ক্ষুধার এই তালিকা ভারতের জন্য লজ্জার। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা মোদি সরকারের চরম ব্যর্থতা।’
বিদ্রুপ করেছেন কংগ্রেস নেতা ও সাবেক মন্ত্রী কপিল সিব্বাল। তিনি বলেন, ‘কনগ্রাচুলেশন মোদিজি! আপনার জন্যই দেশ আজ ক্ষুধার সূচকে ১০০টি দেশেরও পেছনে রয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।’
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, দেশ শাসনে চূড়ান্ত ব্যর্থ মোদি সরকার। তাই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকে ভারতের অবস্থান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। সরকার কাজের কাজ কিছু করছে না।
সিপিএমের মতে, মানুষের হাতে পয়সার জোগান দিতে ব্যর্থ ভারত সরকার। ফলে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। শিশুদের খাবারের জোগান দিতে পারছেন না বাবা-মা। আগামী দিনে আরও বড় বিপদ আসতে পারে।
বিজেপি অবশ্য এই তালিকাকেই মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতেও মোদির যোগ্য নেতৃত্বে ভারতে উন্নয়ন অব্যাহত। তাঁর বদনাম করতেই এসব তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।