ভারতে বিহারের ১৮তম বিধানসভা এবার বেশ কিছু দিক থেকে নতুন চিত্র সামনে এনেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির এনডিএ জোট ২৪৩ সদস্যের নিম্নকক্ষে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বিধানসভা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আগের তুলনায় বয়সে বড়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এবার ১১১ জন বিধায়ক পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় বিধানসভার গড় বয়স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ বছরে (২০২০ সালে ছিল ৫২ বছর)। সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির ২৫ বছর বয়সী মৈথিলী ঠাকুর। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলিনগর আসন থেকে জয় পেয়েছেন। মৈথিলীসহ ৩০ বছরের নিচে মাত্র দুজন বিধায়ক রয়েছেন। অন্যদিকে ৭৯ বছর বয়সী বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (জেডিইউ) এবার নির্বাচিত সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ক।
এ ছাড়া এবার নারী ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতির পরও বিধানসভায় নারীদের সংখ্যা মাত্র তিনজন বেড়ে ২৬ থেকে ২৯ হয়েছে। এর মধ্যে এনডিএ থেকে ২৬ জন ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধনের পক্ষ থেকে ২৪ নারীকে মনোনয়ন দিলেও মাত্র তিনজন জিতেছেন। বিএসপি, জন সুরাজ, ভিআইপি—কোনো দলই নারী জয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কদের গড় সম্পদ এবার দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০২০ সালে নির্বাচিত বিধায়কদের গড় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৩২ লাখ রুপি। এবার তা বেড়ে ৯ কোটি ২ লাখে পৌঁছেছে। এবার নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে বিজেপির কুমার প্রণয় সবচেয়ে ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৭০ কোটি ৮২ লাখ রুপি। সবচেয়ে কম সম্পদ বিজেপির মুরারী পশানের। তাঁর সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬ লাখ ৫০ হাজার রুপি।
এদিকে মামলা আছে এমন বিধায়কের সংখ্যা ২০২০ সালের ১৬৩ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০-এ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪২ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে খুন ও নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর মামলার অভিযোগ নেই। এই তালিকায় ৫৪ জন বিধায়ক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শিবির। আর বিজেপির শরিক দল জেডিইউর নেতা অনন্ত সিং একাই সর্বোচ্চ ২৮টি মামলায় অভিযুক্ত।