হোম > বিশ্ব > ভারত

উড়োজাহাজের ২৪২ আরোহীর মধ্যে শুধু রমেশ বেঁচে গেলেন কীভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

আহমেদাবাদের এক হাসপাতালে বিশ্বাস কুমার রমেশকে দেখতে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের অল্প কিছুক্ষণ পরেই কীভাবে তা এক আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে, সেই হিসাব অনেকেই মিলাতে পারছেন না। দুর্ঘটনার পরদিন মিলেছে ব্ল্যাক বক্স। এবার হয়তো জানা যাবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ।

তার আগ পর্যন্ত সবাই এখন ব্যস্ত দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তিকে নিয়ে। উড়োজাহাজে থাকা সব আরোহী যেখানে মৃত্যুবরণ করেছে, সেখানে তিনি কীভাবে বেঁচে গেলেন?

গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহর থেকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ, যাতে সওয়ার ছিলেন ১২ জন ক্রুসহ ২৪২ জন যাত্রী।

উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি কাছের মেঘানিনগর এলাকায় বিজে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টারে আছড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। চোখের নিমিষে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায় গোটা এলাকা।

দুর্ঘটনায় ২৪১ জন আরোহীর পাশাপাশি বিমানটি যেখানে আছড়ে পড়েছিল, সেখানে মৃত্যু ঘটে কমপক্ষে ৩৩ জনের।

ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তিটি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ। বলা হচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটিতে সেদিন এক বিশেষ স্থানে তাঁর আসন ছিল বলেই প্রাণে বেঁচেছিলেন ৪০ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রমেশ।

আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরেই নিজেকে দুর্ঘটনাস্থলে আবিষ্কার করেন রমেশ। জ্ঞান ছিল তাঁর। রক্তে ভেসে যাচ্ছে পরনের কাপড়। দেহের এদিকে-ওদিকে কাটাছেঁড়ার দাগ।

সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুরো ঘটনায় হতবিহ্বল রমেশ সাংবাদিকদের পরে বলেন, ‍‘আমি কীভাবে বেঁচে ফিরলাম, বুঝে উঠতে পারছি না।’

রমেশের বেঁচে যাওয়া নিঃসন্দেহে কোনো অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়। জরুরি নির্গমনের কাছে থাকা তাঁর আসনটির কারণেই কী বেঁচে গেছেন কি না, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, বিমানযাত্রায় নিরাপদ কোনো আসন আদৌ আছে কি না।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ অংগদ সিং এনডিটিভিকে বলেন, ‍‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উড়োজাহাজে কিছু আসন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। বহু বছরের বিমান দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বলছে, বিমানের একেবারে পেছনের দিকের বা সামনের দিকের আসনগুলো মাঝখানের আসনের চেয়ে বেশি নিরাপদ।

‘তবে, আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এটি একেবারেই প্রযোজ্য নয়। রমেশের ১১এ নম্বর আসনটি বিমানের মাঝামাঝি, ঠিক পাখার আগের দিকে। তাই তাঁর বেঁচে যাওয়াকে অলৌকিক বলাই যথার্থ। এর বাইরে অন্য কোনো শব্দ খাটে না।’

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটে ১১এ নম্বর আসনটি ইকোনমি ক্লাসের প্রথম সারিতে ছিল।

এটি বিজনেস ক্যাবিনের ঠিক পেছনে এবং বিমানের বাঁ দিকের জরুরি নির্গমনের কাছাকাছি। বিমানটি যখন ভূপাতিত হয়, তখন সামনের বাঁ দিকের অংশ, যার মধ্যে ১১এ আসনটিও ছিল, তা ধসে পড়ে—তবে ওপরের স্তর নয়, যেখানে বিমানের মূল কাঠামো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন উড়োজাহাজের আসনবিন্যাস ভিন্ন ভিন্ন হয়। প্রতিটি দুর্ঘটনার ধরন আলাদা। আর কে বাঁচবেন, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান চলাচলবিষয়ক নিরাপত্তা সংস্থা সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিচালক মিচেল ফক্স বলেন, ‍‘প্রতিটি দুর্ঘটনা আলাদা। আর আসনের অবস্থান দেখে কে বাঁচবে তা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।’

২০ বছর অন্ধকারে বন্দী, মৃত্যুর হুমকিতে থেমে যাওয়া শৈশব-কৈশোর

ইন্ডিগোর ফ্লাইট বিপর্যয়: পানি–খাবারহীন অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা হাজারো যাত্রী

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জ্বালানি কিনতে পারলে, ভারত কেন পারবে না—প্রশ্ন পুতিনের

ইন্ডিগোতে ফ্লাইট বিপর্যয়: এক দিনে বাতিল ৫৫০-এর বেশি ফ্লাইট

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

অবশেষে ভারত পাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধ সাবমেরিন, ২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হচ্ছে

পুতিনের নয়াদিল্লি সফর: ঐতিহাসিক কৌশলগত সম্পর্কের পুনর্নবায়ন নাকি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

স্মার্টফোনে সরকারি অ্যাপ: অ্যাপলের হুমকির পর পিছু হটল ভারত

কমান্ডো, স্নাইপারসহ পুতিনের জন্য ভারতের ৫ স্তরের নিরাপত্তাবলয়