ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ‘ভগবান ও উপাসনাস্থলের’ নামে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। ধর্মীয় ভাবাবেগ উসকে দিয়ে ভোট চাওয়া—নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আনন্দ এস জান্দাল নামে এক আইনজীবী। এশিয়া অঞ্চলে সম্প্রচারিত মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনবিসি ১৮ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির অংশগ্রহণ নিষিদ্ধের আরজি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন আনন্দ এস জান্দাল। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘনের অপরাধে প্রধানমন্ত্রীকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা করা হোক।
আইনজীবী আনন্দ এস জান্দালে তাঁর আবেদনে ৯ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের পিলিভিতে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদির এক বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ওই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের কাছে ‘হিন্দু ও শিখ দেবতা ও হিন্দু উপাসনালয়ের’ নামে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রামমন্দির ও কর্তারপুর সাহিব করিডোর তৈরির কথা বলেছেন। এগুলো নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে, কোনো দল বা প্রার্থী এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন না যা বিদ্যমান মতভেদ বাড়াতে পারে বা পারস্পরিক বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে পারে কিংবা বিভিন্ন জাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বা ভাষাগত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
এর আগে, তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে এক জনসভায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে মোদি তামিলনাড়ুকেন্দ্রিক একটি ওয়াদা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি, তিনি বিশ্বব্যাপী প্রাচীন তামিল দার্শনিক ও কবি ‘তিরুভাল্লুভার’ নামে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেছিলেন এবং শ্রীলঙ্কাকে কাচ্চাথিভু ‘দিয়ে’ দেওয়ায় কংগ্রেস ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগামকে (ডিএমকে) ‘পাপী বলে আখ্যা দেন।