ভারতের মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ জেলায় ১৯ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা বোনের শিরশ্ছেদ করেছে এক কিশোর। গতকাল রোববার মায়ের সহযোগিতায় এই লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েই সে ক্ষান্ত হয়নি, বিচ্ছিন্ন মাথা নিয়ে প্রতিবেশীদের সামনে সেলফিও তুলেছে। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সময় অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর স্বামী বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তাঁর ওপরেও হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি পালিয়ে বাঁচেন।
হত্যার শিকার ওই তরুণীর নাম কীর্তি থোর। গত জুনে তিনি বাসা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর থেকে স্বামীর সঙ্গে থাকছিলেন। কীর্তি থোরের মা ও ভাই গতকাল রোববার তাঁর বাসায় বেড়াতে আসেন। কীর্তি থোরের স্বামী অন্য একটি কক্ষে ছিলেন। কীর্তি তাঁর মা ও ভাইয়ের জন্য চা বানাচ্ছিলেন। সে সময় পেছন থেকে কীর্তিকে আঘাত করা হয়। তাঁর মা পা ধরে রাখেন আর ভাই কাস্তে দিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে।
মহারাষ্ট্রের ভাইজাপুর এলাকার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা কৈলাশ প্রজাপতি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে মেয়ে কীর্তির বাড়ি ঘুরে যান মা। এরপর গতকাল ছেলেকে নিয়ে আবারও আসেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার কীর্তি তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে মাঠে কাজ করছিলেন। মা এবং ভাইকে দেখে তিনি ছুটে আসেন। দুজনকে পানি এগিয়ে দিয়ে চা বানাতে রান্নাঘরে ঢোকেন। এমন সময় পেছন থেকে আঘাত করে তাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কীর্তির অসুস্থ স্বামী অন্য একটি ঘরে ছিলেন। তিনি শব্দ শুনে জেগে ওঠেন। তাঁকেও আঘাতের চেষ্টা চালানো হয়। তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।