বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড এবং কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবে শাসক দলের কোন্দল এখন তুঙ্গে। দুটি রাজ্যেই আগামী বছর ভোট। দুটি দলেরই কেন্দ্রীয় নেতারা অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। উত্তরাখণ্ডে বিজেপিকে তাই চার মাসের মধ্যে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হলো। বিজেপি নেতারা অবশ্য বলছেন, করোনার কারণে উপনির্বাচন করতে না পারায় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তিরত সিং রাওয়াতকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে কংগ্রেস আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১৭ সালে ৭০ সদস্যের উত্তরাখণ্ডে ৫৬ আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। কিন্তু দলীয় কোন্দল ধামাচাপা দিতে গত ১০ মার্চ তাঁকে বদল করে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী করেছিল তিরতকে। শর্ত ছিল ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়ে গতকাল বিধায়ক পুস্কর সিং ধমীর নাম নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেছে বিজেপি।
এ ঘটনায় কিছুটা চিন্তায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল। কারণ নভেম্বর মাসের মধ্যে উপনির্বাচন না হলে মমতাকেও ইস্তফা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে ফের সুযোগ পাবেন আরও ৬ মাস পরে নির্বাচিত হওয়ার।
বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসও বিভিন্ন প্রদেশে রাজ্য নেতাদের ক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে সাবেক ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নবজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে লড়াই চলছে। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আলোচনা করেও এখনো কোনো সমাধান সূত্র বের করতে পারেনি।