ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফে গেলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রীতি আদানি। খাজা মইনুদ্দিন চিশতির সমাধিতে মখমলের চাদর ও ফুল বিছিয়ে দেন তাঁরা। আদানি পরিবারকে স্বাগত জানান আজমির শরিফ এবং চিশতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাজি সায়েদ সালমান চিশতি। তিনি বলেন, ‘তিনি (গৌতম আদানি) সারা দেশের জন্য প্রার্থনা করেছেন।’
আজমির শরিফ ভারতবর্ষের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত। শত শত বছর ধরে এই দরগাহতে আসেন সব ধর্মাবলম্বীরা। সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির সমাধি এখানে। তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা অনুসারে, এই মাজার সব ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। মানবতা, প্রেম, সহিষ্ণুতা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি প্রচার ছিল খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির জীবনকর্মের মূল বার্তা। দুনিয়াজুড়ে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ নামে পরিচিত।
স্বর্ণ ও মার্বেল পাথরের তৈরি সমাধিটি রুপার রেলিং ও মার্বেল পর্দা দিয়ে ঘেরা। সম্রাট আকবর প্রতিবছর আজমির শরিফে তীর্থযাত্রায় আসতেন। এই দরগাহতে তিনি ও সম্রাট শাহজাহান মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতির সম্মানে বার্ষিক ওরস উপলক্ষে গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু আজমির শরিফে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির সমাধিতে চাদর চড়ান। এ সময় তীর্থযাত্রীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা চালু করেন মন্ত্রী রিজিজু। এগুলোর মধ্যে ছিল ওরসের দিকনির্দেশনা, দরগাহের অফিশিয়াল ওয়েব পোর্টাল চালু ও গরিবে নেওয়াজ অ্যাপ চালু করা।