আসামে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর হওয়ার দেড় বছরের মাথায় রাজ্যে মাত্র তিনজন বিদেশি নাগরিক ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আজ বুধবার সরকারি এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এত দিনে রাজ্য সরকার হাতে পেয়েছে মাত্র ১২টি আবেদনপত্র। এর মধ্যে তিনজনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করা হয়েছে, বাকি ৯ জনের আবেদন বিবেচনায় রয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এত কম আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিএএ নিয়ে আর বাড়তি আলোচনার প্রয়োজন নেই। তাঁর ভাষায়, ‘যাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, ২০ থেকে ২৫ লাখ বিদেশি নাগরিক আসামে সিএএ-এর সুবিধায় নাগরিকত্ব পাবে, তাঁদের ধারণা এখন অমূলক প্রমাণিত হচ্ছে।’ যদিও রাজ্য সরকার আবেদনকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে গত বছর আগস্টে ৫০ বছর বয়সী দুলন দাস নামের এক ব্যক্তি প্রথম সিএএ নাগরিকত্ব পান।
মূলত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও পারসি ধর্মাবলম্বীদের জন্য তৈরি আইনটি ২০১৯ সালে পাস হলেও নিয়ম প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালের মার্চে। তার পর থেকে আসাম সরকার বিদেশি ট্রাইব্যুনালে চলমান অসংখ্য মামলায় নির্দেশ দিয়েছে, ২০১৫ সালের আগে রাজ্যে প্রবেশ করা অমুসলিম অভিবাসীদের মামলা বন্ধ করতে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মার সাম্প্রতিক মন্তব্যে আবারও সামনে এসেছে বিজেপির দীর্ঘদিনের হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের কৌশল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংখ্যায় তিনজন নাগরিকত্ব পাওয়া হয়তো ক্ষুদ্র একটি ঘটনা; কিন্তু রাজনৈতিকভাবে এর মধ্যে গোপন বার্তা রয়েছে।