রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিভিন্ন অমানবিক কাজকর্মের খবর। কয়েক দিন আগেই এক দলিত তরুণীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগকে ঘিরে রাজ্যে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক আবাসিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্ররা পরীক্ষায় নম্বর কম পেয়ে স্কুলের শিক্ষক ও কেরানিকে বেধড়ক পিটিয়েছে।
পুড়ে মারা যাওয়া ওই তরুণীর পরিবারে অভিযোগ, প্রেমে প্রত্যাখ্যান করায় এক যুবক ঘুমন্ত অবস্থায় ওই তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে মারে। পরে যুবকটিকে খুনের খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খবরের শিরোনাম এক বিজেপি নেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে বর্বরতার অভিযোগকে ঘিরে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে রাজ্যটিতে। বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর বাড়ির পরিচারিকাকে অকথ্য অত্যাচার করতেন। এমনকি, তাঁকে প্রস্রাব খেতেও বাধ্য করা হতো। এই ঘটনা সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হতেই উত্তেজনা ছড়ায়।
প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি বরখাস্ত করেছে তাঁদের নারী মোর্চার নেত্রী সীমাকে। রাজ্য পুলিশ স্থানীয় সময় আজ বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। নির্যাতিতা ওই দলিত নারী বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী পরিচারিকা জানান, বিগত ১০ বছর ধরে তিনি সীমাদের বাড়িতে অত্যাচার সহ্য করছেন। তবে সীমার ছেলে আয়ুস্মানের প্রশংসা করেছেন ওই নারী।
এই ঘটনার পাশাপাশি ঝাড়খন্ডের একটি আবাসিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্ররা অঙ্ক পরীক্ষায় নম্বর কম পেয়ে স্কুলের অঙ্ক শিক্ষক ও এক কেরানিকে গাছে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়েছে। দুজনই এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এদিকে, রাজ্যে অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনৈতিক উত্তেজনাও। জেএমএম-কংগ্রেসের মহাগাঁটবন্ধন সরকারের ক্ষমতার মসনদ টালমাটাল। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের নিজের নামে কয়লা খনির মালিকানা থাকায় তাঁর বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল হতে বসেছে। হেমন্ত অবশ্য অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বিজেপি দল ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়।’ তবে তিনি বিজেপির সেই খেলাকে পাত্তা না দিয়ে রাজ্যের শাসক জোটের বিধায়কদের নিয়ে আনন্দবিহারে কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে পাড়ি দিয়েছেন।