বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বারাসত স্টেশনের কাছ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত তিন ব্যক্তি হিন্দু জাতীয়তাবাদী ‘বজরং দলে’র সদস্য। তাঁদের নাম আর্য দাস, সুবীর দাস ও রিপন চট্টোপাধ্যায়। এই তিন ব্যক্তি বারাসত স্টেশনের কাছে মাটিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আঁকেন এবং তার ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে নিজ সংগঠনের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন বজরং দলের নেতা বাপন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদেই আমরা এই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের সদস্যদের না ছাড়লে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব।’
এ ঘটনাকে কেন্দ্র নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রবেশপথে ভারতের জাতীয় পতাকার ওপর ছাত্রছাত্রীদের হাঁটার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদেই বজরং দলের কর্মসূচি ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বজরং দলের হুঁশিয়ারি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং তাঁকে আদালতে হাজির করার পর চট্টগ্রামে সহিংসতায় আইনজীবীর প্রাণহানির পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। দুই দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে। সম্প্রতি জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে।