ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনকে বিধায়ক হওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। অবৈধভাবে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের মামলায় তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। কমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
নির্বাচন কমিশন থেকে বিধায়ক হওয়ার যোগ্যতা হারানোর ফলে আইন অনুসারে হেমন্ত আপাতত আরও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তবে তিনি আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় নির্বাচনের মাধ্যমে বিধায়ক হতে পারলে এবং রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তাঁকে সমর্থন দিলে তিনি আবারও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন।
ঝাড়খন্ডের প্রবীণ রাজনীতিবিদ সূর্য রায় বলেছেন, তাঁকে একটি ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে—নির্বাচন কমিশন হেমন্ত সরেনকে বিধায়ক হওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে। এক টুইটে সূর্য রায় আরও বলেন, ‘যেই মাত্র রাজ ভবন থেকে তাঁর অযোগ্য হওয়ার চিঠি এসে পৌঁছাবে তখনই তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে কিংবা আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে এসে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, হেমন্ত সরেন নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি চুক্তিকে নিজ নামে করে নিয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের গভর্নর রমেশ বৈশ নির্বাচন কমিশনের মন্তব্যকে পরীক্ষা করে দেখেছেন এবং হেমন্ত সরেনকে এই বিষয়ে শিগগিরই অবহিত করা হবে বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে, এই দফায় তাঁকে বিধায়ক হওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হলেও তাঁকে পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়নি।
এদিকে, হেমন্ত সরেনের দাবি, ‘সবই বিজেপির ধামাধরা মিডিয়ার অপপ্রচার।’ তবে তিনি অপপ্রচার বললেও জানা গেছে, হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারালে বিকল্প হিসেবে তাঁর স্ত্রী কল্পনা সরেনকে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে তাঁর দল জেএমএম।
এই বিষয়ে বিজেপির এমপি নিশিকান্ত দুবের দাবি, ‘নিজেদের অপরাধেই ডুবছে জেএমএম।’ উল্লেখ্য, খনি কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে হেমন্ত ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে বেআইনি অস্ত্র থেকে শুরু করে প্রচুর টাকা-পয়সাও উদ্ধার হয়েছে।