নেদারল্যান্ডসের বন্দরনগরী রটারডামে এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রটারডামের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারী ওই ব্যক্তি সশস্ত্র বাহিনীর পোশাক ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি বাড়িতে গুলি চালাতে শুরু করে। পরে বাড়িটিতে আগুন ধরে গেলে সে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এসে আবারও গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ওই ব্যক্তি যে বাড়িতে গুলি চালায়, সেখানে ঘটনাস্থলেই ৩৯ বছরের এক নারীর মৃত্যু হয়। একটু পরেই বাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। আহত হয় ওই নারীর ১৪ বছরের মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তারও মৃত্যু হয়। এরপর ওই বন্দুকধারী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে আবারও গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৪৬ বছরের এক শিক্ষকের। পুলিশের দাবি, বন্দুকধারীও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
পুলিশ বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করলেও কেন সে এ কাজ করেছে তা, এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমেরিকায় এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে, কিন্তু নেদারল্যান্ডসেও এমনটা ঘটবে তা কোনো দিনও ভাবিনি।’ ঘটনার পর ইউনিভার্সিটি ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রটারডামের পুলিশপ্রধান সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়েই গুলি চালিয়েছে ওই ব্যক্তি। আক্রান্তের পাশাপাশি তার নিজ বাড়িতেও আগুন লাগিয়েছে সে। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে তা খুলে দেওয়া হয়।’
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।