স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ায় সরকারি দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ। স্ত্রী বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গতকাল বুধবার সমাজতান্ত্রিক এই নেতা আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁর কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। আগামী সোমবার সংবাদ সম্মেলনে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেবেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এক্স প্ল্যাটফরমে লেখা এক চিঠিতে সাঞ্চেজ লেখেন, ‘আমার বিরতি নিয়ে একটু চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। আমি জরুরিভাবে এই প্রশ্নের উত্তর চাই ... আমি কি সরকারের নেতৃত্ব চালিয়ে যাব, নাকি এই সম্মান ত্যাগ করব।’
৪৯ বছর বয়সী গোমেজের কোনো সরকারি কার্যালয় নেই এবং তিনি জনসম্মুখে খুব কমই আসেন। মানোস লিম্পিয়াস নামের এক আইনি মামলা পরিচালনার প্ল্যাটফরম তাঁর বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান ব্যবহার করে ব্যবসায়ী চুক্তি প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছে। এই প্ল্যাটফরম নিজেকে এই ইউনিয়ন হিসেবে দাবি করে।
মানোস লিম্পিয়াসের অর্থ পরিষ্কার হাত। এর নেতৃত্বে রয়েছেন কট্টর ডানপন্থী দলের মিগেল বার্নাড রেমন। সংস্থাটি স্পেনের আইনের একটি বিশেষত্ব ব্যবহার করেছে, যার মাধ্যমে ব্যক্তি বা সংস্থাগুলো অভিযুক্তদের কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও নির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলায় অংশ নিতে পারে।
মাদ্রিদভিত্তিক একটি আদালত অভিযোগগুলো বিবেচনা করে বলবেন, এই তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হবে, নাকি খারিজ করে দেওয়া হবে। তদন্তের বিষয়টি গোপনীয় উল্লেখ করে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি আদালত।
আদালতের রায়ের পর সংসদে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিচারব্যবস্থা কাজ করছে বলে তিনি মনে করেন কি না। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আজকের মতো একটি দিনে এবং এমন খবর শোনার পরও আমি এখনো এ দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখি।’
বিচারমন্ত্রী ফেলিক্স বোলানোস নতুন অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।