ব্রিটেনে করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে নিয়ম ভঙ্গ করে একটি পার্টিতে যোগ দেওয়ায় ‘সর্বান্তকরণে’ ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মঙ্গলবার ব্রিটিশ হাউস অব কমনসে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে বিরোধীরা তাঁর এই ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিকে তামাশা বলে আখ্যা দিয়েছে। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজ বাসভবনে হওয়া ওই পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য বরিস জনসন ক্ষমা চাইলেও এবারও নিজের সপক্ষে সাফাই গেয়েছেন যে—তিনি জেনেশুনে নিয়ম ভঙ্গ করেননি এবং পার্লামেন্টকে এই বিষয়ে ভুল তথ্য দেননি। জনসন এই বিষয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবিকে আবারও নাকচ করে দিয়েছেন।
‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর হয়েছিল জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টির বিরোধী রাজনীতিবিদেরা এমনকি তাঁর দলেরই অনেকেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সর্বশেষ, গত সপ্তাহে, ২০২০ সালের জুনে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের জন্মদিনের সারপ্রাইজ পার্টিতে যোগদানের জন্য বরিস জনসনকে ৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড অর্থাৎ ৬৫ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এর ফলে, প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আইন ভঙ্গ করার অপরাধে জরিমানা গুনলেন তিনি।
এদিকে, বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টারমার জনসনের ক্ষমা প্রার্থনাকে ‘তামাশা’ বলে উল্লেখ করেছেন।