নিউজিল্যান্ডে বাধ্যতামূলক করোনার টিকা গ্রহণ এবং লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে হাজার হাজার মানুষ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিছিল করেছেন। দেশটির ৯০ শতাংশ লোক সম্পূর্ণ ডোজ টিকা পাওয়ার মাইলফলকে পৌঁছানোর পরে এই আন্দোলন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের কঠোর লকডাউন এবং টিকা কার্যক্রম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেছে। তবে বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা শেষ করার আহ্বান জানিয়ে কিছু সমালোচনাও হচ্ছে।
এই বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক নেই। তাঁরা ওয়েলিংটনের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকার মধ্য দিয়ে মিছিল করেন এবং সংসদ ভবন বিহাইভের সামনে জড়ো হন। বিহাইভের নিরাপত্তা জোরদার করতে এর প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কয়েক ডজন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
নিউজিল্যান্ড সরকার শিক্ষক ও স্বাস্থ্য খাতের লোকজন, পুলিশ এবং অন্য সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করেছে। সময়োপযোগী পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দেশটি করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়। তবে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ক্রিসমাস বিরতির আগে বেশির ভাগ বিধিনিষেধ শিথিল করেছেন। পরে উচ্চ টিকা দেওয়ার মাধ্যমে ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকার একটি নতুন 'ট্র্যাফিক লাইট' সিস্টেমে এসে করোনাভাইরাস নির্মূল করার দীর্ঘস্থায়ী কৌশল ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা বহির্বিশ্বের জন্য বন্ধ রয়েছে এবং আগামী বছর থেকে ধীরে ধীরে খোলা হবে। এরই মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ (৩৮ লাখ) নাগরিককে টিকা দেওয়া হয়েছে। ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকা গ্রহণের সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।