ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ্রহের কথা আগেই জানিয়েছিল ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ দুটি ন্যাটোভুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। এটিকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের নিরাপত্তার প্রশ্নে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সর্বশেষ প্রতিরোধ ঘাঁটি আজভস্টালের পতন ঘটেছে। সেখানে থাকা আড়াই শতাধিক ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এ ঘটনার পরপরই ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোভুক্ত হতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাল। ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দপ্তরে আবেদনপত্রের চিঠি জোটের মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গের কাছে হস্তান্তর করেন সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আনুষ্ঠানিক আবেদন গ্রহণ করে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ‘এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। ন্যাটোতে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আবেদনকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা আমাদের নিকটতম অংশীদার এবং ন্যাটোতে আপনাদের সদস্যপদ আমাদের সবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।’
উল্লেখ্য, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একমত নন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী নতুন কোনো দেশ যদি ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়, তবে জোটের ৩০টি সদস্য দেশকে একমত হতে হবে। প্রতিটি সদস্য দেশের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। সেই হিসাবে তুরস্কের সমর্থন না পেলে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি বাস্তবিয়ন না-ও হতে পারে।