অবশেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের দেশ ফ্রান্সও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, গতকাল সোমবার, নিউইয়র্কে ফিলিস্তিন-বিষয়ক এক বিশেষ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, আন্দোরা এবং সান মারিনোও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বললেও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
এর আগে গত রোববার যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
গতকাল সোমবারের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেন, ‘শান্তির সময় এসে গেছে। গাজায় চলমান যুদ্ধকে কোনোভাবেই ন্যায়সংগত বলা যায় না।’
এ সময় তিনি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর আবারও জোর দেন। যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, ‘গায়ের জোর নয়, সব সময় সত্যের জয় হওয়া উচিত। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিশ্চিতের জন্য যা প্রয়োজন তা আমাদের করতে হবে। কারণ, একমাত্র কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমেই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল পাশাপাশি দুই রাষ্ট্র হিসেবে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে অবস্থান করতে পারে।’
হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারেও কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতি আর পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণকে ঘিরে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। মূলত এ কারণেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এই ঢেউ শুরু হয়েছে।
তবে, ইউরোপীয় দেশগুলোর এই পদক্ষেপে যারপরনাই অখুশি ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার ‘পুরস্কার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য—ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ হামাসকে তাদের সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কৃত করা।