ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইউক্রেনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বলেছেন, আপনার কিয়েভ সফর অন্যদের জন্য একটি শক্তিশালী সংকেত হবে এবং চলমান উত্তেজক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
দুই দেশের সরকার প্রধান বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ৫০ মিনিট কথা বলেন। এই ফোনকলের ব্যাপারে ওয়াশিংটন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, জো বাইডেন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দুই দেশের নেতা ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় কূটনীতি এবং প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
এদিকে কিয়েভের জেলেনস্কির কার্যালয় বলেছে, রাশিয়া তার পশ্চিম প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করলে তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জো বাইডেন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনা করেছেন। মার্কিন সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ন্যাটোর সদস্য নই। এ জন্য শুধু ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীই আমাদের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে।’
এরই মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া লক্ষাধিক সৈন্য মোতায়েন করেছে। যদিও শুরু থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলে আসছেন, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছে, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। দেশটি ইউক্রেন সীমান্তে ৭০ শতাংশ সেনা মোতায়েন করেছে, যা উদ্বেগজনক।
এমন প্রেক্ষাপটে গত শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় পুতিনকে জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এর কড়া জবাব দেবে।