হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান কিনছে যুক্তরাজ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন কর্তৃক নির্মিত এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান। ছবি: এএফপি

পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান কিনছে যুক্তরাজ্য। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় জানিয়েছে, এটি হবে ‘এক প্রজন্মে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক সক্ষমতার সবচেয়ে বড় শক্তিশালীকরণ’।

আজ বুধবার (২৫ জুন) হেগে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার এই ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে স্নায়ুযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনী পারমাণবিক অস্ত্র বহনের সক্ষমতা অর্জন করবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধু সাবমেরিন আর উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন, ‘আমরা চরম এক অনিশ্চয়তার যুগে বাস করছি। শান্তিকে আমরা আর স্বাভাবিক বলে ধরে নিতে পারি না, এ কারণেই আমার সরকার জাতীয় নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করছে। এই এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমানগুলো আমাদের বিশ্বমানের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে।’

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে ব্রিটেনের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘ন্যাটোর প্রতি আরও একটি শক্তিশালী ব্রিটিশ অবদান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমানটি মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন কর্তৃক নির্মিত। এটি যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানের মতোই, তবে এটি প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি পারমাণবিক বোমাও বহন করতে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ সাতটি ন্যাটোভুক্ত দেশে এ ধরনের যুদ্ধবিমান রয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বিমানগুলো ন্যাটোর পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন জেটগুলো মারহাম বিমানঘাঁটিতে রাখা হবে। এই বিমান ক্রয়ে প্রতিরক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

হেগে অনুষ্ঠিত এই ন্যাটো সম্মেলনে জোটের ৩২টি সদস্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্যপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং নতুন আক্রমণকারী সাবমেরিন ও যুদ্ধাস্ত্র কারখানা নির্মাণে বড় ধরনের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধির এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনার পর এসেছে। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন বলেছিল, নিরাপত্তা খাতে ন্যাটো জোটের অর্থের পুরোটাই বহন করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলোও রাশিয়ার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তাদের সামরিক বাহিনীতে বড় বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেছেন, জার্মানি তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে ‘ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী’ হয়ে উঠবে।

শান্তির জন্য ন্যাটোর আশা ছাড়ার ইঙ্গিত দিল ইউক্রেন

১২৩ বন্দী মুক্তির বিনিময়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার পেল বেলারুশ

রাশিয়ার হামলায় বিদ্যুৎবিহীন ইউক্রেনের ১০ লাখ পরিবার

৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী, চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

ইউক্রেনের ২ বন্দরে রুশ হামলায় ৩ তুর্কি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত

দনবাসে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্যবসা করবে সবাই

স্কুলে কিশোরীদের হেডস্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রিয়া

যুক্তরাজ্যে ভারতীয়সহ ৬০০ ঔপনিবেশিক প্রত্নবস্তু চুরি, দুই মাস পর জানাল পুলিশ

ভারতীয় কারিগরদের তৈরি চপ্পল লাখ টাকায় বিক্রি করবে প্রাডা