রাশিয়ার বেলগরোদ অঞ্চলে হামলায় ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সাঁজোয়া যানের ‘হামভি’ ছবি প্রকাশ করেছে মস্কো। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন। বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার (২২ মে) ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগরোদ অঞ্চলে বড় ধরনের সশস্ত্র হামলা হয়।
বেলগরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ জানান, ‘অঞ্চলটিতে রাতভর হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যক্তিগত যানবাহন, ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। এ ছাড়া ড্রোন হামলাও হয়েছে।’
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, নাশকতাকারী গোষ্ঠী পিছু হটে আবার ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ফিরে গেছে। হামলাকারীদের মধ্যে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে দাবি করছে মস্কো। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যুদ্ধ কীভাবে পরিচালনা করা হবে, সে সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র কখনো সমর্থন করে না।’
ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, ‘হামলায় ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সাঁজোয়া যানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হলেও ছবিগুলোর সত্যতা নেই।’
এর আগে হামলাকারীদের ‘ইউক্রেনের সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউক্রেন দাবি করছে, হামলাকারীরা তাদের দেশের কেউ নন। তারা রাশিয়ারই দুটি আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিওন (এফআরএল) ও রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস (আরডিকে) নামে এ দুটি বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই ক্রেমলিন বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
গত সোমবার বেলগরোদের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কোজিঙ্কা নামে একটি এলাকাকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে লিজিয়ন গ্রুপ। তারা দাবি করে, ভলান্টিয়ার কর্পসের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তারা বেলগরোদ অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে। রুশ নাগরিকেরা নিরাপদ এবং রুশ ফেডারেশন শক্তিশালী এমন ধারণাকে হামলার মধ্য দিয়ে চূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় দলটি।