বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোকে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি অবহেলা করতে না করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি এখনো যথেষ্ট রয়েছে। আমরা সেই ঝুঁকিগুলো বাড়াতে চাই না। যদিও অনেকেই এটা পছন্দ করবে। কিন্তু পারমাণবিক যুদ্ধের বিপদটা গুরুতর। একে অবহেলা করা উচিত নয়।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লাভরভের সাক্ষাৎকারের পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের পাশে থাকার ব্যাপারে বিশ্বকে ভয় দেখানোর সর্বশেষ আশাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে রাশিয়া। এর অর্থ হচ্ছে, মস্কো তার পরাজয় বুঝতে পেরেছে।’
লাভরভ ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, ‘ন্যাটো মূলত একটি প্রক্সির মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত এবং সেই প্রক্সিকে অস্ত্র দিচ্ছে। যুদ্ধ মানে যুদ্ধই।’
এদিকে গত রোববার কিয়েভ সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সফরকালে তাঁরা ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর পরদিন সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইউক্রেনের কাছে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের গোলাবারুদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। পেন্টাগন বলেছে, তাদের গোলাবারুদ প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে উইটজার, কামান, ট্যাংক ও গ্রেনেড লঞ্চার।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘ইউক্রেন সম্পর্কিত প্রতিরক্ষা আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ সপ্তাহে ৪০ টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে কিয়েভকে সশস্ত্র করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত মস্কোর রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘পশ্চিমা অস্ত্রগুলো সংঘাতকে উসকে দিচ্ছে।’ এ জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অস্ত্রের চালান বন্ধ করতে বলেছেন।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। ১৯৪৫ সালের পর কোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রে এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণ। এতে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হচ্ছে। শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।