ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর জন্য অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে রাশিয়াকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার দ্বারা যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিচারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আগে থেকে রেকর্ড করা ওই ভিডিও বক্তব্যে ইউক্রেনের নেতা একটি বিশেষ যুদ্ধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি করার পাশাপাশি রাশিয়ার ‘যুদ্ধাপরাধ’বিষয়ক বিবরণ তুলে ধরেন। জেলেনস্কি তাঁর দেশকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়া এবং বিশ্বমঞ্চে রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার জন্য একটি ‘শান্তি’ পরিকল্পনাও পেশ করেন।
অধিবেশনে উপস্থিত অনেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বক্তব্যকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, সাধারণ পরিষদে দেওয়া সূচনা বক্তব্যে জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ যুদ্ধের মাধ্যমে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করার অভিযোগ করেন।
জেলেনস্কির এই ভাষণের দিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে লড়াইয়ের জন্য ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন। পুতিনের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার রাস্তায় বিক্ষোভ হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, পুতিনের এই পদক্ষেপে বোঝা যাচ্ছে তিনি শান্তি আলোচনার বিষয়ে আগ্রহী নন। ভাষণে মোট ১৫ বার ‘শাস্তি’ কথাটি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
ভাষণে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের অঞ্চল অবৈধভাবে দখল ও হাজার হাজার মানুষকে হত্যার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করতে সাহায্য করবে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। মস্কোকে তার অপরাধের জন্য অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নিতে হবে রাশিয়ার।