ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ দ্রুত বাড়ছে। এ নিয়ে আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কথা বলবেন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) তাঁরা টেলিফোনে কথা বলবেন।
তবে এর আগেই নতুন করে উত্তেজনা বাড়ার ইঙ্গিত দিল রাশিয়া। রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে রুশ কূটনীতিকের সংখ্যা ন্যূনতম করার ঘোষণা দিয়েছে।
যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা যেকোনো সময় ঘটতে পারে। এমনকি বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক চলাকালীনও ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, রাশিয়ার সমর প্রস্তুতি বাড়ছে। ইউক্রেন সীমান্তে ক্রমেই সেনা বাড়ানো হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ সাতটি দেশ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও দেশটির নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে। তবে রাশিয়া বারবারই পশ্চিমাদের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। দেশটি বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাক্সার টেকনোলজিস দাবি করেছে, ইউক্রেনের কাছে বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মাক্সার টেকনোলজিসের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, ক্রিমিয়া, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও বেলারুশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে রুশ সেনা মোতায়েন হতে দেখা গেছে।
গত ডিসেম্বরের পর এই প্রথম বাইডেন ও পুতিন ইউক্রেন-সংকট নিয়ে সরাসরি আলোচনা করতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া যেভাবে সেনা বাড়িয়েছে, তাতে যেকোনো সময়ে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া।
রুশ প্রেসিডেন্ট একের পর এক পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এসব আলোচনা এখন পর্যন্ত ইউক্রেন-সংকট নিয়ে উত্তেজনা কমাতে পারেনি। গত শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে বলেছে, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশ ও মিডিয়াগুলো বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।