নতুন সীমান্ত আইন বাস্তবায়নের রাস্তা থেকে পিছু হটেছে ইউরোপের দেশ কসোভো। প্রতিবেশী দেশ সার্বিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় প্রিস্টিনা এই উদ্যোগ নিয়েছে। কসোভোর উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত সার্ব নৃ–গোষ্ঠীরা এই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
কসোভোর পুলিশ এক বিবৃতিতে গত রোববার জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত সার্ব নৃ–গোষ্ঠীরা এই সীমান্ত আইনের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে এবং অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ করে। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
২০০৮ সালে সার্বিয়ার কাছ থেকে কসোভো স্বাধীন হলেও দেশটির উত্তরাঞ্চলে থাকা সার্ব নৃ–গোষ্ঠীরা বিগত কয়েক বছরে কোনোভাবেই কসোভোর সরকারের শাসনকে মেনে নেয়নি। তাঁরা শুরু থেকেই সার্বিয়ার সরকারের প্রতি অনুগত ছিল এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তাও পেত।
সর্বশেষ উত্তেজনার সূত্রপাত মূলত কসোভো সরকার গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত থেকে। যেখানে দেশটির সরকার গত সপ্তাহের জানিয়েছিল, আগামী সোমবার থেকে যারা সার্বিয়ার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কসোভোয় প্রবেশ করবে তাদের আলাদাভাবে অস্থায়ী একটি পরিচয়পত্র নিতে হবে কসোভোর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এ ছাড়া, যেসব সার্ব নৃ–গোষ্ঠী এখনো তাদের যানবাহনে সার্বিয়ার লাইসেন্স ব্যবহার করছেন তাদের সেগুলোর বদলে কসোভো সরকারের ইস্যু করা লাইসেন্স ব্যবহার করতে হবে।
কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি গতকাল রোববার বলেছিলেন, তাঁর সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে কারণ, সার্বিয়ার সরকারও কসোভোর নাগরিকদের জন্য একই রকম উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, প্রিস্টিনায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফরি হোভেনিয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর কসোভো গৃহীত নতুন আইনটি অন্তত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।