হোম > বিশ্ব > চীন

তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের মৃত্যুদণ্ডের হুমকি চীনের

তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের ওপর মৃত্যুদণ্ড আরোপের হুমকি দিয়েছে চীন। চরম পরিস্থিতি ও ঘটনার ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের জন্য এই মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য হওয়ার কথা বলে তাইওয়ানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে বেইজিং। তবে গণতান্ত্রিক দেশ তাইওয়ানে চীনা আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে বিবেচনা করে চীন। গত মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লাই চিং-তে দায়িত্ব গ্রহণের পর এ ব্যাপারে নিজেদের অসন্তুষ্টি লুকায়নি বেইজিং। লাইকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যা দিয়ে এরপর থেকেই যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখিয়ে চলছে চীন।

লাই চিং-তে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই চীন সামরিক মহড়া, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে তাইওয়ান।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া অনুসারে, নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে—চীনের আদালত, কৌঁসুলি, পাবলিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উচিত দেশকে বিভক্ত করার জন্য তাইওয়ানের যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উসকানি দিচ্ছে তাদের শাস্তি দেওয়া। চীনা সংস্থাগুলোর উচিত দৃঢ়ভাবে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, একতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা।

বেইজিং গত শুক্রবার এই নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। সেখানেই তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকে উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছে যে, যারা রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য গুরুতর ক্ষতি করে তাদের এই শাস্তির আওতায় আনা হবে।

মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়। গত শুক্রবার থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে বলেও জানানো হয়। ২০০৫ সালের বিচ্ছিন্নতা বিরোধী আইনসহ ইতিমধ্যে কার্যকর থাকা আইনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নির্দেশনাগুলো।

তাইওয়ান চীনের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হলে আইনটি চীনকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের আইনি ভিত্তি দেবে।

চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সান পিং বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিচ্ছিন্নতার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

চীনের এ নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়ায় তাইপে বলেছে যে, তাইওয়ানে কোনো আইনি এখতিয়ার রাখে না বেইজিং। এ ছাড়া যে নিয়ম মানার জন্য বেইজিং নির্দেশ দিয়েছে, তা তাইওয়ানের জনগণের জন্য মানা বাধ্যতামূলক নয়।

তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিং কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ তাইওয়ানে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার উসকানি হিসেবে কাজ করবে। এ পদক্ষেপ বেইজিং ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নের জন্যও সহায়ক নয়।

চীন থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হবে এই নির্দেশনায়। এই বিধিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

লাই বারবার চীনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

চীন এর আগেও তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রাক্তন ডি ফ্যাক্টো রাষ্ট্রদূত এবং বর্তমানে দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিয়াও বি-খিমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ভার্চুয়াল কাপলিং: তারহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন-নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমের সফল প্রয়োগ চীনের

প্রাচীন চীনা সমাজে বলি হতেন নারী-পুরুষ উভয়ই, তবে ভিন্ন কারণে

কূটনৈতিক উত্তাপ চরমে: সাংহাইয়ের মঞ্চে গানের মাঝখানে থামিয়ে দেওয়া হলো জাপানি শিল্পীকে

হংকংয়ে অগ্নিকাণ্ড: বিতর্কের কেন্দ্রে ভবন নির্মাণে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের মাচা

হংকংয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি বেড়ে ১২৮

হংকংয়ে আবাসিক কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৯৪

হংকংয়ের অগ্নিকাণ্ডটি ১০৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ, নিহত বেড়ে ৬৫

হংকংয়ে বহুতল আবাসিক ভবনে আগুনে নিহত বেড়ে ৪৪, এখনো নিখোঁজ ২৭৯

‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল মন্দির

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে আসছে চীনের অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’