হোম > বিশ্ব > এশিয়া

কূটনৈতিক সক্ষমতা পুনর্বিন্যাসের জন্য দূতাবাস বন্ধ, উ. কোরিয়ার দাবি

বেশ কয়েকটি দেশে কূটনৈতিক দূতাবাস বন্ধ করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত দেশটি বৈদেশিক আয়ের ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছে বলেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন। 

তবে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, কূটনৈতিক সক্ষমতার কার্যকর পুনর্বিন্যাসই এমন পদক্ষেপের কারণ। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানান হয়েছে।

বহির্বিশ্বের সঙ্গে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি অ্যাঙ্গোলা, স্পেন ও উগান্ডায় দূতাবাস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া, হংকং থেকে দূতাবাস প্রত্যাহারে পিয়ংইয়ংয়ের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে বেইজিং। 

গত বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলেছিল, স্পেন, হংকং ও আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশে দূতাবাস বন্ধ করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এর ফলে বিশ্বে পিয়ংইয়ংয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ দূতাবাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলেছেন, ‘পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও জাতীয় কূটনৈতিক নীতি অনুসারে আমরা কূটনৈতিক মিশন প্রত্যাহার ও স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।’

তবে কোন দেশগুলো থেকে দূতাবাস প্রত্যাহার এবং কোন দেশে স্থাপন করা হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানাননি এই মুখপাত্র। তবে ‘জাতীয় স্বার্থে’ কূটনৈতিক ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস ও পরিচালনার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই অভিহিত করেছেন তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয় বলেছে, দূতাবাস বন্ধের এই পদক্ষেপ পিয়ংইয়ংয়ের দুর্বল অর্থনীতিকেই চিহ্নিত করছে। পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়া উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, পিয়ংইয়ং থেকে তহবিল সংগ্রহ না করে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক মিশনগুলো অবৈধ বাণিজ্যিক কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্থ জোগাড় করে তা দেশে পাঠায়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার ১৫৯টি দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক থাকলেও ৫৩টি দেশে কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কনস্যুলেট ও তিনটি প্রতিনিধি কার্যালয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বিপর্যস্ত অর্থনীতির কারণে উত্তর কোরিয়া যে তার পুরোনো মিত্রদের সঙ্গেও ন্যূনতম কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, দূতাবাস বন্ধের ঘটনা সেটাই দেখায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭০-এর দশক থেকেই অ্যাঙ্গোলা ও উগান্ডার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে উত্তর কোরিয়া। দেশগুলোর মধ্যে সামরিক সহযোগিতাসহ ভাস্কর্য নির্মাণের মতো বিরল খাতে বৈদেশিক অর্থ জোগানের নজির রয়েছে।

তাইওয়ানে মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে ছুরি হামলা, নিহত ৩

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়