প্রশিক্ষণ ছাড়াই দাঁতের চিকিৎসা করানোর অভিযোগে হংকংয়ে চার গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই গৃহকর্মীরা ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক বলে গত শুক্রবার হংকং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
হংকং কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩১ থেকে ৩৫ বয়সী ওই গৃহকর্মীরা তাঁদের ছুটির দিনে একটি গেস্ট হাউসের কক্ষ ভাড়া করে দাঁতের চিকিৎসা দিতেন।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে হংকংয়ের অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তার ওই চার গৃহকর্মীর দাঁতের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না। এছাড়া তাঁরা শহরে দাঁতের চিকিৎসক হিসেবে নিবন্ধিত হননি।
কর্মকর্তারা বলছেন, তারা চুক্তিভিত্তিক গৃহকর্মী হিসেবে ইন্দোনেশিয়া থেকে হংকং এসেছিলেন। অভিবাসন শর্ত ভঙ্গ করায় তাঁদেরকে আটক করা হয়েছে।
হংকংয়ের অভিবাসন বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা অভিবাসন শর্ত ভঙ্গ করেছেন। নিবন্ধিত না হয়ে দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে হংকংয়ের নাগরিকদের স্বাস্থ্য এবং জীবন হুমকির মধ্যে ফেলেছেন। এছাড়া এটি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ায়।
হংকং কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই গৃহকর্মীরা রোগীদের স্কেলিং, ট্রিমিং, ফিলিং এবং ব্রেস পরানোর মতো সেবা দিতেন। এর বিনিময়ে তাঁরা ২০০ হংকং ডলার (২ হাজার ১০০ টাকা প্রায়) থেকে ২ হাজার হংকং ডলার (২১ হাজার ৮০০ টাকা) পর্যন্ত নিতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাদান সরাসরি সম্প্রচার করে রোগী সংগ্রহ করতেন তারা। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও হংকং কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হংকংয়ের আইন অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ একজন গৃহকর্মী শুধু ঘরের কাজই করতে পারবেন। এছাড়া অন্য কোনও কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
হংকংয়ের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেকের ৬ হাজার ৪৩৫ ডলার জরিমানা এবং দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে । এছাড়া নিবন্ধিত না হয়ে দাঁতের চিকিৎসা দেওয়ায় ওই গৃহকর্মীদের আরও এক লাখ হংকং ডলার জরিমানা এবং তিন বছরের জেল হতে পারে।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট