ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। মানাদো শহর থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ–পূর্বের মেলাকা সাগরে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৬৪ কিলোমিটার। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্যটি জানিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
শক্তিশালী ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার উত্তর–পশ্চিমের টার্নেট শহর থেকে প্রায় ১২৭ কিলোমিটার দূরে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
টার্নেট শহরের এক বাসিন্দা নাসারুদিন আমিন বলেন, এটি অনেক বড় ঝাঁকুনিই ছিল। তবে লোকজন আতঙ্কিত হয়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় এ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। এ অঞ্চলে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিও রয়েছে। টেকটোনিক প্লেটগুলোর বিচ্যুতি ঘটে প্রায়ই। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয় জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশই এ কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেসি দ্বীপে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ২০১৯ সালে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ।
২০১৮ সালে দেশটির লোম্বাক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দেশটির সাড়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল।
২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।