জাপান এই সপ্তাহে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালুর অনুমোদন দিতে যাচ্ছে বলে আজ বুধবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
স্বল্প সম্পদের দেশটি ২০১১ সালে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। তবে বর্তমানে তারা পুনরায় পারমাণবিক শক্তিতে ফেরার পাশাপাশি জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে।
কিয়োদো নিউজ ও নিক্কেই বিজনেস ডেইলি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাপানের কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চলতি সপ্তাহেই স্থানীয় গভর্নরের অনুমোদন পেতে পারে।
যে নিগাতা প্রদেশে কেন্দ্রটি অবস্থিত, সেই মধ্য জাপানের গভর্নর হিদেও হানাজুমি আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাতটি রিঅ্যাক্টরের মধ্যে শুধু একটি পুনরায় চালু করা হবে।
২০১১ সালের মার্চে জাপানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর জেরে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটাকে অন্যতম বড় পারমাণবিক বিপর্যয় হিসেবে দেখা হয়।
ওই ঘটনার পর নিজের দেশের সব পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর বন্ধ করে দেয় জাপান। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই জ্বালানির প্রতি অনীহাও তখন বাড়তে থাকে।
স্থানীয় সাংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালুর বিষয়ে গভর্নরের অনুমোদন মিললে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর তেপকোর (ফুকুশিমা দাইচি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান) জন্য এটাই হবে প্রথম কোনো পারমাণবিক কেন্দ্র পুনরায় চালুর ঘটনা।
জাপান সরকার পারমাণবিক শক্তিকে নির্ভরযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস হিসেবে সমর্থন দিয়ে আসছে, যা দেশটির জন্য প্রয়োজন। কারণ, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে জাপান।
চলতি বছরের জুলাইয়ে জাপানের বিদ্যুৎ কোম্পানি ক্যানসাই ইলেকট্রিক জানিয়েছিল, ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর প্রথম নতুন পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর নির্মাণের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
তবে এখন পর্যন্ত জাপানের সামনে ফুকুশিমা প্ল্যান্টটি অপসারণ ও ধ্বংস করার কঠিন কাজটি রয়ে গেছে; যা শেষ করতে কয়েক দশক লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ