তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার আগে ও পরে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের ফোন ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস দিয়ে আড়ি পাতা হয়েছিল। ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার আগে ও পরে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের ফোনে আড়ি পাতা হয়। এর মধ্যে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুজন নারীর ফোনও আড়ি পাতা হয়েছিল। আর এই দুজন নারী হচ্ছেন খাসোগির বাগদত্তা হেতিজে চেঙ্গিস ও তাঁর স্ত্রী হানান এলাতারে।
জানা গেছে, খাসোগিকে হত্যার ছয় মাসে তাঁর স্ত্রী হানান এলাতারের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস দিয়ে আড়ি পাতা হয়। তবে তখন সফলভাবে সেই ফোনটি হ্যাক করা গিয়েছিল কি-না তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ ছাড়া খাসোগির বাগ্দত্তা খাদিজা চেঙ্গিসের আইফোনও হ্যাক করা হয়। খাসোগিকে হত্যার কয়েক দিন পরই তাঁর ফোনটিকে পেগাসাস দিয়ে নজরদারিতে আনা হয়।
সৌদি রাজ পরিবারের কট্টর সমালোচক ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। এ কারণেই তিনি দেশটি থেকে নির্বাসিত ছিলেন। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন খাসোগি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে জামাল খাসোগি সৌদি দূতাবাসে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ থাকেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বলছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশই খাসোগিকে হত্যা করা হয়। তবে সৌদি কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
খাসোগি নিখোঁজের পর থেকেই এ নিয়ে সরব ছিল তুরস্ক। দেশটির শুরু থেকেই বলে আসছে যে খাসোগিকে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করা হয়েছে। তুর্কি পুলিশের ধারণা, হত্যাকারীরা খাসোগির লাশ পুড়িয়ে অথবা টুকরো করে কেটে উধাও করে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন