আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দেশ দুটির সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার একজন পাকিস্তানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আফগানিস্তানের স্পিন বোলদাক জেলার সীমান্তবর্তী চাহমান শহরের ডেপুটি কমিশনার আবদুল হামিদ জেহরি বলেছেন, ‘আগের দিন উভয় পক্ষের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত গোলাগুলি হয়েছে। এরপর দুই দেশের বাণিজ্য ও সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
জেহরি আরও বলেন, ‘সীমান্ত ক্রসিংয়ের আফগান দিক থেকে আগত একজন পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে গুলি করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের কারণে উভয় পক্ষের কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।’
এদিকে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রও সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘উভয় পক্ষের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এটি একধরনের ‘‘ভুল বোঝাবুঝির’’ কারণে হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইংয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কী ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই পাশে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্ত পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেয় তালেবান গোষ্ঠী। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষের জন্য পাকিস্তান বেশির ভাগ সময় আফগানিস্তানের জঙ্গিদের দায়ী করেছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্য তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে তালেবান বরাবরই জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাত কয়েক দশক ধরেই চলছে। পাকিস্তান তার সীমান্তে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু তালেবান সেই পরিকল্পনায় বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।