জ্বালানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে মধ্য এশিয়ার তেলসমৃদ্ধ দেশ কাজাখস্তানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটিতে দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কাজাখস্তানের বিভিন্ন শহরে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত তোকায়েভ বলেন, সরকারের পদত্যাগপত্র তিনি গ্রহণ করছেন।
সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার কাজাখস্তানের অয়েল হাব বলে পরিচিত মেঙ্গিস্টা শহরে প্রতিবাদ শুরু হয়। দ্রুত এই বিক্ষোভ অন্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। রাতেও বিক্ষোভকারীরা শহরের রাস্তায় ছিলেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ শহর আলমাটিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েও বিক্ষোভ সামাল দিতে পারেনি।
কাজাখস্তানের আলমাটি শহরের পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু গাড়িতে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।
২০১৯ সালে পর্যন্ত কাজাখস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নজরবায়েভ কোনো রকম চ্যালেঞ্জ ছাড়াই দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট তোকায়েব ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, কাজাখস্তানে অনেকেই এলপিজিতে গাড়ি চালান। সরকার এত দিন দাম নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছিল বলে গ্যাসোলিনের থেকে এলপিজিতে গাড়ি চালানো সস্তা ছিল। সরকার সেই এলপিজির দাম বাড়ানোয় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়, যার জেরে সরকারের পতন হলো।