লেবাননের বৈরুতে বন্দুক হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এ হামলা হয়। গত বছর বন্দরে হওয়া বোমা হামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া বিচারককে অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় এই বন্দুক হামলা করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈরুতে আজ বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহ এক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। দাবি ছিল, গত বছর হওয়া বোমা হামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারককে অপসারণ করা। এই বিক্ষোভে যোগ দিতে যাওয়ার সময় করা বন্দুক হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। নিহতদের সবাই শিয়া মতাবলম্বী।
এর মধ্য দিয়ে লেবাননের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরেক ধাপ উত্তপ্ত হয়ে উঠল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ১৯৭৫-৯০ সময়ের পর লেবাননের পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়নি। গত বছর যখন বন্দরে বোমা হামলা হয়, সে সময় লেবানন সরকার দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল। ওই হামলা লেবানন সরকারকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কর্মসূচি থেকে মনোযোগ অন্যদিকে নিতে বাধ্য করে।
লেবাননের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, বৈরুত শহরের তিউনেহ ট্রাফিক সার্কেলের কাছে যখন মিছিলটি আসে, তখনই এই বন্দুক হামলা হয়। ওই সড়কের একপাশে খ্রিষ্টান এবং অন্যপাশে শিয়া মুসলমানদের বাস।
এদিকে হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্র শিয়া আমল মুভমেন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে বিক্ষোভকারীদের মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। এটি লেবাননে সহিংসতা সৃষ্টির লক্ষ্যে করা হয়েছে।
এরই মধ্যে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি সবার প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অস্ত্রধারী কাউকে দেখামাত্র গুলি করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।