হোম > বিশ্ব > ভারত

হিন্দুধর্মও তো নিবন্ধিত নয়—কংগ্রেসের আক্রমণের জবাবে আরএসএস প্রধান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল নয়; বরং নীতির পক্ষে অবস্থান নেয়—এমনটাই বলেছেন সংগঠনটির প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিকে যদি কংগ্রেস সমর্থন করত, তাহলে আরএসএসের কর্মীরা কংগ্রেসকেই সমর্থন করতেন।

মোহন ভাগবতের এই মন্তব্য এমন সময়ে এল—যখন কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা, বিশেষ করে দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আরএসএসের সমালোচনায় মুখর। গত মাসে খাড়গে বলেছিলেন, আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা উচিত। তাঁর ছেলে ও কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গেসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা সম্প্রতি আরএসএসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালান।

কংগ্রেসের নেতাদের থেকে আসা আক্রমণের জবাবে ভাগবত বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। নির্বাচনী রাজনীতিতেও অংশ নিই না। সংঘের কাজ হলো সমাজকে এক করা। অন্যদিকে রাজনীতি বিভাজন সৃষ্টি করে। আমরা নীতিকে সমর্থন করি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা অযোধ্যায় রামমন্দির চেয়েছিলাম। তাই আমাদের স্বয়ংসেবকরা এটি নির্মাণের পক্ষে ছিলেন। বিজেপি তা সমর্থন করেছিল। তাই তারা ভোট পেয়েছে। কংগ্রেস যদি ওই দাবিকে সমর্থন করত, আমাদের স্বয়ংসেবকেরা তাদেরই ভোট দিত।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ নেই। সংঘের নিজস্ব কোনো দল নেই, কোনো দল আমাদের নয়। আবার সব দলই আমাদের—কারণ তারা ভারতীয় দল। আমরা “রাষ্ট্রনীতি”কে সমর্থন করি, “রাজনীতি”কে নয়। আমাদের নিজস্ব মত আছে। আমরা চাই, দেশ নির্দিষ্ট পথে এগোক। যারা সেই পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আমরা তাদেরই সমর্থন করব।’

আরএসএসে মুসলমানদের যোগ দেওয়ার সুযোগ আছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, কোনো জাতি, কোনো মুসলমান বা খ্রিষ্টান আলাদাভাবে অনুমোদিত নয়। কিন্তু যে কেউ—মুসলমান বা খ্রিষ্টানসহ—নিজস্ব পৃথক পরিচয় বাইরে রেখে সংঘে যোগ দিতে পারে। শাখায় এলে তিনি “ভারত মায়ের সন্তান” হিসেবেই আসেন। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও শাখায় আসেন। তবে আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না। কারা আসছেন, তা-ও জিজ্ঞেস করি না।’

কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, আরএসএস নিবন্ধিত সংগঠন নয়।

এর জবাবে ভাগবত বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর বহুবার দেওয়া হয়েছে। যাঁরা প্রশ্ন তুলতে চান, তাঁরা বারবার সেটা তুলেই যান। সংঘের জন্ম ১৯২৫ সালে। তখন কি আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে গিয়ে নিবন্ধন করতাম? স্বাধীনতার পরও আইন অনুযায়ী নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। “বডি অব ইনডিভিজুয়্যালস” হিসেবেই আমাদের আইনগত স্বীকৃতি আছে এবং আমরা একটি স্বীকৃত সংগঠন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের তিনবার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদি আমরা না থাকতাম, তাহলে সরকার কাকে নিষিদ্ধ করেছিল? প্রতিবারই আদালত সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন। সংসদ ও বিধানসভায় বহুবার আরএসএসকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমর্থন ও বিরোধিতা—দুটিই হয়েছে। আইনগতভাবে ও বাস্তবে আমরা একটি সংগঠন, অসাংবিধানিক নই। তাই নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। অনেক কিছুই আছে, যেগুলো নিবন্ধিত নয়। হিন্দুধর্মও তো নিবন্ধিত নয়।’

আরএসএসের শক্তি বরং আরও বাড়ে, যখন তার বিরোধিতা করা হয়—যোগ করেন ভাগবত।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

মস্কোতে গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল সারভারভ নিহত

‘হিন্দু রাষ্ট্র’ সংবিধানে থাকতে হবে না, এটি সূর্যোদয়ের মতোই সত্য: আরএসএস প্রধান

নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলের অপহৃত আরও ১৩০ শিক্ষার্থী মুক্ত

ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে আরেকটি তেলবাহী ট্যাংকারকে যুক্তরাষ্ট্রের ধাওয়া

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টাকে প্রতিহতের ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

ভেনেজুয়েলার আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন বাহিনী

ভেনেজুয়েলায় মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে সতর্ক করলেন লুলা