ধূমপায়ীরা সবার অগোচরে প্রতি বছর বাড়তি এক সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে নিচ্ছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। অফিস চলাকালীন সিগারেট টানার বিরতিগুলো যোগ করে এমন তথ্য দিয়েছেন গবেষকেরা।
বুধবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। গবেষণাটি যুক্তরাজ্যে পরিচালিত হলেও অফিস চলার সময় ধূমপানের বিরতি নেন সব দেশের কর্মীরাই।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যমতে, দেশটির বিভিন্ন অফিসে অন্তত ৫২ শতাংশ কর্মী তাদের ডেস্ক ছেড়ে ধূমপানের বিরতি নেন। বিষয়টি খুব স্বাভাবিক মনে হলেও যুক্তরাজ্যের কর্মঘণ্টার হিসেবে ধূমপায়ী ওই কর্মীরা বছরে অন্তত ৪০ ঘণ্টা বিরতি ভোগ করেন-যা দেশটির এক সপ্তাহের কর্মঘণ্টার সমান। দেশভেদে কর্মীদের বিরতি নেওয়ার ওই সময়টি আরও বেশিও হতে পারে।
বিষয়টি হঠাৎ আলোচনায় আসে একজন অধূমপায়ী নারীর ভাইরাল হওয়া একটি টিকটক ভিডিওর সূত্র ধরে। ভিডিওতে সিড নামে ওই নারী দাবি করেন, অফিস চলার সময় তার ধূমপায়ী সহকর্মীরা যতক্ষণ বিরতি ভোগ করেন তিনিও অন্য উপায়ে ততক্ষণ বিরতি ভোগ করার চেষ্টা করছেন। এটি করতে গিয়ে তিনি কিছু সমস্যারও মুখোমুখি হয়েছেন। তবে ধূমপায়ী সহকর্মীদের সঙ্গে তুলনা করলে সাময়িক বিরতি গ্রহণকে নিজের অধিকার বলেই দাবি করেন তিনি।
সিড বলেন, ‘আমার পাশে বসা কোনো ব্যক্তি যদি ধূমপায়ী হন, তবে অফিসে ধূমপান করার জন্য বেশ কয়েকবার কাজে বিরতি নেন তিনি। কিন্তু অধূমপায়ী হিসেবে এ ধরনের বিরতির সুযোগ আমার নেই, এমনকি এ জন্য আমি বাড়তি কোনো ছুটিও পাই না।
‘তাই তারা যখন ধূমপানের বিরতিতে যায়, আমিও তখন অফিসের বাইরে এসে মোবাইলে গুতাগুতি করি। তাদের বিরতি শেষ হলে, আমিও অফিসের ভেতরে চলে আসি।’
সিডের ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে মন্তব্য করেছেন অসংখ্য টিকটক ব্যবহারকারী। একজন লিখেছেন, ‘যখন আমি পিৎজা হাটে চাকরি করতাম-এ ধরনের বিরতিকে আমরা বলতাম এয়ার ব্রেকস।’
তবে ভিডিওটির নিচে এক অফিসের বস লিখেছেন-‘এ ক্ষেত্রে অধূমপায়ীদের আমরা ফলাহারের বিরতি দেই। বলি-পাঁচ মিনিটের বিরতি নেন, একটি কমলা খান।’