হোম > স্বাস্থ্য > স্বাস্থ্য-গবেষণা

গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে সন্তান অটিস্টিক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে শিশুদের মধ্যে অটিজমের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ বাড়ে। ছবি: এনডেবার হেলথ

গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে নবজাতকের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পূর্ববর্তী ২০২টি গবেষণার ৫ কোটি ৬০ লাখের মা-শিশু জোড়ার ডেটা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।

ডায়াবেটিসই এ সমস্যাগুলোর মূল কারণ কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যখন গর্ভাবস্থায় মায়েদের ডায়াবেটিস হয়, তখন শিশুদের স্নায়বিক বিকাশজনিত ব্যাধি ধরা পড়ার আশঙ্কা ২৮ শতাংশ বেশি থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে শিশুদের মধ্যে অটিজমের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডারের (এডিএইচডি) ঝুঁকি ৩০ শতাংশ এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকি ৩২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া যোগাযোগের সমস্যার ঝুঁকি ২০ শতাংশ চলাফেরার সমস্যা ১৭ শতাংশ এবং শেখার সমস্যা ১৬ শতাংশ বেড়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের তুলনায় গর্ভাবস্থার আগে মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশুদের জন্য এক বা একাধিক স্নায়ুতন্ত্রজনিত রোগের ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ বাড়ে।

গবেষণাটি দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি জার্নালে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের হার ৯ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং এই হার ক্রমেই বাড়ছে।

গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত আগের সাতটি গবেষণায় ভাই-বোনদের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। যেখানে মায়ের ডায়াবেটিসের প্রভাব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বা জেনেটিক (জিনগত) কারণও এই ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত।

গবেষকেরা বলেন, যেসব নারীর ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের শিশুদের পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এনওয়াইইউ গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিনের ডা. ম্যাগডালেনা জানেকা বলেন, ‘মায়েদের ডায়াবেটিসের সঙ্গে সন্তানদের অটিজমের সম্পর্ক রয়েছে, তা একটি পরিচিত ধারণা। এ ধরনের বড় আকারের ডেটার বিশ্লেষণ আমাদের বিভিন্ন গ্রুপের তুলনা করার সুযোগ দেয়। তবে এই ধরনের বিশ্লেষণ কারণ এবং প্রভাবের সম্পর্ককে প্রমাণ করতে সাহায্য করে না।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অটিজমের কারণ হিসেবে ভ্যাকসিনের ভূমিকা নিয়ে আরও গবেষণার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে এ ধরনের দাবিগুলো আগেই গবেষণার মাধ্যমে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

অটিজম হলো একধরনের বিকাশজনিত সমস্যা, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। সাধারণত তিন বছরের মধ্যে এটি প্রকাশ পেতে শুরু করে। অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মধ্যে সামাজিক আচরণ, সম্পর্ক গঠন এবং কল্পনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা যায় এবং তাদের পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা কম থাকে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বিভিন্ন মাত্রায় থাকতে পারে।

এটি কোনো রোগ নয়, বরং একটি ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বা বিকাশগত বৈকল্য। অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত তাদের পরিবেশের সঙ্গে মেলামেশা বা অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে সমস্যা অনুভব করে। এই সমস্যাগুলো তাদের দৈনন্দিন জীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলতে পারে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

পুরুষ বন্ধ্যত্ব: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

ওষুধকে ফাঁকি দিতে মরার ভান করে ক্যানসার কোষ—গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য

পুরুষদের টাক সমস্যার সমাধান মিলল ৫ বছর আগের এক ব্রণের ওষুধে

চোখের যেসব রোগ পুরুষদের বেশি হয়

বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিন থেরাপিতে সুস্থ বিরল রোগে আক্রান্ত অলিভার

সংগীত ওষুধের কাজ করে—দাবি মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের

প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে শহুরে জীবন, বলছেন বিজ্ঞানীরা

মানসিক স্বাস্থ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ডা. ফাহিমা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে ঘুম হারাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণেরা: গবেষণা

শিশু-কিশোরদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ