ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সাধারণ মানুষের চেয়ে কম থাকে। তাই তাঁরা বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দিয়ে সহজেই আক্রান্ত হন। তাঁদের যেকোনো সংক্রমণ সহজে সারতে চায় না।
যে সংক্রমণগুলো বেশি হয়
পায়ের সংক্রমণ
ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের সংবেদনশীলতা কম থাকে। তাই তাঁরা আঘাতে টের পান না। ফলে পায়ে যেকোনো চোট থেকে ঘা হতে পারে, যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ে রক্তসঞ্চালনও কম থাকতে পারে। সে জন্য সংক্রমণ সহজে শুকাতে চায় না। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে পা কেটেও ফেলতে হতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
ছত্রাক সংক্রমণ
ডায়াবেটিসের রোগীরা সহজেই ছত্রাক বা ফাঙ্গাস দিয়ে আক্রান্ত হন। হতে পারে তা ত্বকে চুলকানি বা দাদ; যৌনাঙ্গে সংক্রমণ থেকে চুলকানি এবং সাদা স্রাব, নখে ছত্রাক থেকে সংক্রমণ, পায়ের আঙুলে সংক্রমণ।
প্রতিরোধে করণীয়
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত চিকিৎসক দেখানো।
প্রস্রাবের সংক্রমণ
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে প্রস্রাবে বারবার সংক্রমণ হয়। এ সমস্যা থেকে কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে।
লক্ষণ
প্রতিরোধে করণীয়
অপারেশনের পর সংক্রমণ
ডায়াবেটিসের রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করে অপারেশন করলে ঘা শুকাতে দেরি হয়। এমনকি সেখানে অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণও হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীদের শ্বেত রক্তকণিকা ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। তাই ঘা শুকাতে দেরি হয়।
করণীয়
মুখে ঘা
ডায়াবেটিসের রোগীদের বারবার মুখে ঘা এমনকি মাড়িতে ও দাঁতের গোড়ায় সংক্রমণ হতে পারে। এই সমস্যা প্রতিরোধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা