চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। এ সময় আমাদের যে সমস্যা বেশি হয়, তা হলো শরীরে পানির ঘাটতি। ফলে মুখ, গলা, জিহ্বা শুকিয়ে আসে। পাশাপাশি শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, প্রস্রাব হলুদ হয় এবং পরিমাণে কমে যায়। অনেকের এ সময় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে দৈনিক খাবার তালিকায় একটু পরিবর্তন আনতে হবে। এতে অনেকটাই সুস্থ থাকা যাবে। সারা দিনের খাদ্যতালিকায় যে পরিবর্তন আনতে হবে:
- রসাল ফল বা ফলের রস বা লেবুর শরবত রাখুন।
- পরোটা না খেয়ে নাশতায় রাখুন আটার রুটি, সবজি, ডিম সেদ্ধ।
সকাল ও দুপুরের খাবারের মাঝখানের সময়
- চা-কফি না খেয়ে খেতে পারেন চিয়া সিডস বা তোকমাদানার শরবত।
- খাওয়া যেতে পারে তালের শাঁস বা কোনো রসাল ফল।
দুপুরের খাবার
- ভাতের সঙ্গে কম মসলা ও ঝাল দিয়ে রান্না করা মাছ বা মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল।
- সবজি বা শাক।
- সালাদে রাখুন শসা, মুলা, টমেটো ইত্যাদি।
বিকেলের নাশতা
- ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে তরল ও নরম খাবার রাখুন। যেমন স্যুপ, লাচ্ছি, ঘোল, রায়তা, স্মুদি, ফালুদা ইত্যাদি।
রাতের খাবার
- দুপুরের মতোই সহজপাচ্য পাতলা ঝোলজাতীয় খাবার।
এই গরমে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
- তেলে ভাজা, পোড়া খাবার।
- প্রচুর তেল-মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার।
- ভাজা বা ভুনা খাবার।
- লাল মাংস।
- খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারিজাতীয় খাবার।
- চা, কফি ইত্যাদি।
যা করবেন
- দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করুন পর্যাপ্ত পানি। স্বাভাবিক তাপমাত্রা বা রুম টেম্পারেচারের পানি পান করুন। বেশি ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- প্রচণ্ড গরমে বাইরে বের হলে সঙ্গে পানি নেবেন।
- রাস্তার কোনো খাবার খাবেন না। এতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মাহফুজা নাসরীন শম্পা, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল