হোম > স্বাস্থ্য > চিকিৎসকের পরামর্শ

মলাশয়-মলদ্বারের ক্যানসার শনাক্তে কোলোনস্কপি

ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল 

মলাশয় ও মলদ্বারের ক্যানসারকে একসঙ্গে বলা হয় কোলোরেক্টাল ক্যানসার। এটি বিশ্বজুড়ে তৃতীয় সর্বাধিক প্রাদুর্ভূত ক্যানসার। এর মধ্যে মলদ্বার ক্যানসার হলো ক্যানসারজনিত মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ। কোলোনস্কোপিসহ এ রোগের নিয়মিত পরীক্ষা করানো হলে মলাশয়ের ক্যানসারজনিত কারণে মৃত্যুর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে মলাশয়ের ক্যানসার সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য। প্রাথমিক শনাক্তকরণের চ্যালেঞ্জ হলো-মলাশয়ের ক্যানসার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। রোগটি পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রসর না হলে প্রায়ই কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।

লক্ষণ

  • পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তাক্ত মল
  • অন্ত্রের বা মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন
  • অবসাদ
  • বমি বমি ভাব এবং বমি করা
  • মলদ্বার ব্যথা
  • ওজন কমে যাওয়া।

কোলন ক্যানসারের উৎস
এই ক্যান্সার সাধারণত পলিপের মাধ্যমে শুরু হয়। কিছু পলিপ থেকে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুব কম থাকে আর কিছু পলিপের মাধ্যমে ক্যানসারের আশঙ্কা খুব বেশি থাকে। এই পলিপকে সাধারণত প্রিক্যানসার বলা হয়। বংশগত কারণ, জীবনযাত্রার মান, কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগ এসব কারণে কিছু পলিপ হতে পারে। তবে কোনো পলিপের কারণ জানা যায় না।

চিকিৎসকেরা বলে থাকেন ৫০ বছরের ওপরের পুরুষ এবং নারীদের কোনো উপসর্গ ছাড়াই কোলোনস্কোপি করা উচিত। বংশে যদি কারও ক্যানসার বা কোলন ক্যানসার থেকে থাকে তাহলে ৪০ বছরের মধ্যে একবার কোলোনস্কোপি করা উচিত। যদি এই সময় কোলোনস্কোপির ফলাফল স্বাভাবিক থাকে তবে
৫ থেকে ১০ বছর অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কোলোনস্কোপি করানো উচিত।

রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা 
কোলোনস্কোপি মলাশয়ের ক্যানসারের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্ক্রিনিং পরীক্ষা। এর মাধ্যমে রোগের পরিস্থিতি সুক্ষ্মভাবে ধরা যায়। তাই যত আগে পরীক্ষাটি করা যায়, তত বেশি মৃত্যুর ঝুঁকি কমে। কোলোনোস্কোপির বিকল্প পরীক্ষাগুলো হলো- সিগময়েডোস্কোপি ও ফিকাল অকাল্ট রক্ত পরীক্ষা। 

কোলোনোস্কোপির মাধ্যমে নির্ভুলভাবে পলিপ ও অস্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি শনাক্ত করা যায়। এই পরীক্ষার সময় পাওয়া প্রাথমিক পর্যায়ের টিউমারের মতো ক্যানসারজনিত বৃদ্ধি তখনই অপসারণ করা যায়। ক্যানসারজনিত সব টিস্যু অপসারণ করা পর্যন্ত রোগীর সাধারণত কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। এক বছর পরে কোলোনোস্কোপি পুনরায় করা হলে ক্যানসারের পুনরাবৃত্তি হওয়ার লক্ষণগুলি পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব হয়।

লেখক: 
সহযোগী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ
কোলোরেক্টাল, ল্যাপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

চেম্বার: ১৯ গ্রিন রোড, এ.কে. কমপ্লেক্স,
লিফট-৪, ঢাকা। যোগাযোগ: ০১৭১২৯৬৫০০৯

ওজন কমাতে অনুপ্রেরণা ধরে রাখবেন যেভাবে

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত

প্রতিস্থাপনে শূকরের অঙ্গ একদিন মানব অঙ্গের চেয়ে উন্নত হতে পারে: বিশেষজ্ঞ

এই শীতে কেন খাবেন তেজপাতা ও লবঙ্গ চা

গলা ও বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা: কেন হয় এবং প্রতিরোধে করণীয়

যেসব তথ্যে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না

মনমেজাজ ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার জরুরি

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে করণীয়

সাইনাসের সংক্রমণে চোখ ব্যথায় করণীয়