চোখের পাপড়ি যেখান থেকে গজায়, সেই রেখা ঘেঁষে যে লাল লাল ছোট্ট দানা বা পুঁটলির মতো তৈরি হয়, সেটা অঞ্জনি। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এগুলো স্টাই বা হরডিওলাম নামে পরিচিত।
অঞ্জনি হলে যা হয়
অঞ্জনি কেন হয়
চোখে অনেক রকমের গ্রন্থির মধ্যে একটি হলো মেবোমিয়ান গ্রন্থি। এই গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ভেতরে ময়লা জমে এর সংক্রমণ থেকে অঞ্জনি হয়। এতে কখনো অন্যান্য গ্রন্থিও আক্রান্ত হতে পারে। তবে সব সময় যে সংক্রমণের জন্যই অঞ্জনি হবে, তা নয়। মৃত কোষ, ময়লা বা তেল জমে চোখের পাতার ওপর থাকা ক্ষুদ্র তেল গ্রন্থিগুলোর মুখ বন্ধ করে দেয়। তখন ভেতরে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেওয়ায় অঞ্জনি হয়। এটা চোখের ভেতরে ও বাইরে হতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বল্পদৃষ্টিজনিত ত্রুটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের, বিশেষ করে যাঁরা প্রয়োজন সত্ত্বেও চশমা ব্যবহারে উদাসীন থাকেন, তাঁদের মধ্যে এজাতীয় সমস্যা প্রবল।
চিকিৎসা
বারবার অঞ্জনি হলে গ্রন্থির মুখে কোনো সমস্যা বা দীর্ঘদিনের পাপড়ির প্রদাহ, পাপড়িতে খুশকি ইত্যাদি আছে কি না, দেখে নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। এর চিকিৎসা খুবই সাধারণ।
লক্ষ রাখুন
ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে অঞ্জনির সমস্যা কয়েক দিনেই সেরে যায়।
লেখক: প্রাক্তন ফ্যাকাল্টি ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম