রক্তে চিনির পরিমাণ কম থাকলে আমরা বলি ‘হাইপো’ হয়েছে। বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, হাইপো গ্লাইসিমিয়া। যার অর্থ হলো ভীষণ অসুস্থ। তবে সাবধান হলে হাইপো গ্লাইসিমিয়ার ঝুঁকি আর জটিলতা এড়ানো যায়।
সাধারণত শরীর রক্তের গ্লুকোজ রাখে স্বাভাবিক আর স্থিতিশীল। গ্লুকোজ বাড়লে অগ্ন্যাশয় নামে শরীরের একটি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় ইনসুলিন হরমোন, যা রক্তের গ্লুকোজ দেহকোষে ঢোকাতে সাহায্য করে। এই গ্লুকোজ জোগায় শক্তি। খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজ ৪-৬ মিলিমল পার লিটার আর খাবারের দুই ঘণ্টা পর সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৮ মিলিমল পার লিটার স্ট্যান্ডার্ড।
ডায়াবেটিসের রোগী যদি ইনসুলিন বেশি নেন বা কোনো বেলার খাবার বাদ দেন, কঠোর ব্যায়াম করেন, তবে অনেক সময় হাইপো হয়। রক্তের গ্লুকোজ ৪ মিলিমল পার লিটারের কম হলে বুঝবেন হাইপো হয়েছে।
উপসর্গ
এ ছাড়া হতবিহ্বল, ঘুম ঘুম ভাব, অস্পষ্ট কথা, বেখাপ্পা ব্যবহার ও অচেতন হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। খুব গুরুতর হলে মৃত্যুও হতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
হাইপো হলে রোগীর স্বজনেরা যা করবেন
রোগীর স্বজন বা বন্ধুরা তাঁকে শান্তভাবে বসাবেন। গ্লুকোজ জেল থাকলে খাইয়ে দেবেন। তা না হলে দেবেন মিষ্টি বা ফলের জুস বা ২ চা-চামচ চিনি। সন্দেহ হলে তাঁর হৃৎস্পন্দন আর শ্বাস কেমন হচ্ছে তা দেখতে হবে। রোগী ভালো বোধ করলে রক্তের গ্লুকোজ মাপুন। খারাপ মনে হলে ৯৯৯-এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন।
লেখক: বিশেষজ্ঞ ল্যাবরেটরি মেডিসিন, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ