দিগন্তের মাঝে হঠাৎ চিলের ছোঁ মেরে শিকার ধরার দৃশ্য দারুণ মুগ্ধতার জন্ম দেয়। উড়ন্ত শিকারি পাখিরা এই অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়েই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।
দুর্লভ পাখি ‘চিল’। সুবিশাল আকাশে অলস ভঙ্গিমায় ভেসে বেড়ায় এই পাখি। নৌকার হালের মতো লেজ ব্যবহারের মাধ্যমে মুহূর্তেই দিক ঠিক করতে পারে। উড়তে পারে বাতাসের প্রতিকূলেও। দূর আকাশ হতে নিমেষেই নেমে ছো মেরে নিয়ে যায় গৃহস্থের আঙিনার হাঁস-মুরগির ছানা।
তবে এখন আর আগের মতো শিকারি এই পাখি চোখে পড়ে না। নানা রকম চিল আছে। যেমন-ভুবন চিল, বাদামি চিল, গোদা চিল, ডোম চিল প্রভৃতি।
এদের পা খুব শক্তিশালী এবং এগুলো সাদা পালকে ঢাকা থাকে। গাছ, খুঁটি, বা বৈদ্যুতিক তারে বসে কিংবা বাতাসে উড়ে উড়ে এরা আহার খোঁজে এবং পায়ের শক্তিশালী লম্বা নখ দিয়ে শিকার ধরে খায়।
পাখি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিল খুবই সুযোগ সন্ধানী ও শিকারি পাখি। পানির আশপাশে আবাসস্থলে মাছই তাদের প্রধান খাদ্য হয়ে ওঠে। মৃত বা রুগ্ণ মাছও খায়। আহত, মৃত বা অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি, ব্যাঙ, সরীসৃপ এবং পোকামাকড়ও খায়। এ ছাড়া হাঁস-মুরগির ছানাও শিকার করে তারা। কসাইখানা, বর্জ্য স্তূপ, ময়লার স্তূপ, মাছবাজার এবং পোতাশ্রয়ের উচ্ছিষ্ট আর বর্জ্য খেয়ে থাকে এই পাখি।