হোম > পরিবেশ

অতি গরম ও খরায় আমাজনের হ্রদে শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু

ব্রাজিলের আমাজন রেইনফরেস্ট এলাকায় ১০০-র বেশি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। এই অঞ্চলে প্রচণ্ড খরা চলছে। কোনো কোনো জায়গায় পানির তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেছে। এ কারণে ডলফিনগুলোর মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। 

মৃত ডলফিনগুলো পাওয়া গেছে লেক তেফে এলাকায় গত এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ে। ব্রাজিলের মিনিস্ট্রি অব সায়েন্সের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান মামিরাওয়া ইনস্টিটিউটের সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সিএনএন। 

ইনস্টিটিউটটি জানিয়েছে, এত বেশি সংখ্যক ডলফিনের মৃত্যু অস্বাভাবিক। হ্রদের তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং আমাজনের ঐতিহাসিক খরা এর কারণ হতে পারে। 

‘এ ধরনের মারাত্মক ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য সময়টা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায়, তবে আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই অনাবৃষ্টি ও লেক তেফের উচ্চ তাপমাত্রার সম্পর্ক আছে। কোনো কোনো জায়গায় এটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে।’ সিএএন ব্রাজিলকে জানানো হয় ইনস্টিটিউটটির পক্ষ থেকে। 

দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত আমাজন নদী এলাকায় এখন শুকনো মৌসুম চলছে। তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় নদীর কয়েক জাতের প্রাণীই হুমকির মুখে পড়েছে। 

সিএনএন ব্রাজিল জানিয়েছে, গবেষক ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিয়োজিত কর্মীরা নদীর আশপাশের অবস্থিত তাপমাত্রা কম এমন বিভিন্ন ল্যাগুন (উপ হ্রদ) ও পুকুরে বেঁচে থাকা ডলফিনদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে জায়গাটির দুর্গমতার কারণে কাজটি মোটেই সহজ হচ্ছে না। 

‘নদীর ডলফিনদের অন্য নদীতে সরানো নিরাপদ নয়। কারণ কোনো ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বা ভাইরাস সেখানে উপস্থিত আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি (বুনো পরিবেশে প্রাণীদের ছাড়ার আগে)’ মামিরাওয়া ইনস্টিটিউটের গবেষক আন্দ্রে কোয়েলহো সিএনএন ব্রাজিলকে বলেন। 

আমাজনের খরা অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। আমাজোনাস রাজ্যের ৫৯টি পৌরসভায় পানির স্তর গড়ের চেয়ে নিচে নেমে গেছে। এটি নদীতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন এবং মাছ ধরাকে বাধাগ্রস্ত করছে। 

সিএনএন ব্রাজিল সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও তীব্র খরার আশঙ্কা করছে, যার ফলে আরও ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে। 

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ব্রাজিলের আমাজন রেইনফরেস্ট অঞ্চলে মারাত্মক খরায় নেমে এসেছে। কর্মকর্তারা অনুমান করেন যে এই সংকট বছরের শেষ নাগাদ ৫ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। 

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সূত্রে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, এল নিনোর কারণে খরা আরও বেড়েছে। এল নিনো বৃষ্টিপাতের জন্য মেঘ তৈরিতে বাধা দেয়।

শীতে জবুথবু, কুয়াশায় দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

সকালে সূর্যের দেখা নেই, কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ

ঢাকায় বেড়েছে বায়ুদূষণ, দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় কাবুল

পৌষ মাসে নেই শীতের দেখা, বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ