জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব কতটা? সঠিক অভিভাবকত্ব বলতে কী বোঝায়? এমন কিছু প্রশ্ন তুলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয় ধারাবাহিক ‘আলো-ছায়া’। প্রথম থেকেই ধারাবাহিকটি দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল। ২০১৯ থেকে ২০২১, টানা দুই বছর জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তকমা ধরে রাখার পর এ জার্নি শেষ হচ্ছে। গত বুধবার ছিল ‘আলো-ছায়া’র শেষদিনের শুটিং।
দেবাদ্রিতা, বিবান ঘোষ, অলোকানন্দা গুহ, ঈপ্সিতা মুখার্জিসহ পুরো টিমের জন্য দিনটি ভীষণ আবেগের। স্মৃতি জাগানিয়া। এতদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করতে করতে অনেকটা পরিবারের মতোই হয়ে গিয়েছিলেন তারা। এবার সেই সম্পর্কে দূরত্বের ঘণ্টা বাজছে। প্রতিদিনের শুটিংয়ে দেখা হবে না আর পরস্পরের সঙ্গে! শেষদিনের শুটিংয়ে সবাই তাই ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন।
ছায়া চরিত্রে অভিনয় করছিলেন দেবাদৃতা। বললেন, ‘একটানা একটি চরিত্র করার পর নতুন কিছু করার খিদে জাগে। হয়ত সেই অনুভূতি থেকেই আমার চাওয়া ছিল ধারাবাহিকটি শেষ হোক।’
‘আলো হচ্ছে একটা স্বপ্ন, একটা আদর্শ চরিত্র। আজ এমন চরিত্র খুঁজলে হয়ত লাখে একজন পাওয়া যাবে। যে নির্মল শৈশবটা হারিয়ে গেছে, আলো সেই শৈশব। আর ছায়া কিন্তু মোটেই ভিলেন নয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির এই যুগে সে ইউটিউব দেখে। বিভিন্ন অ্যাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।’ আলো আর ছায়া- চরিত্র দু’টি নিয়ে শুরুতে এভাবেই বলেছিলেন প্রযোজক সুশান্ত দে।
‘আলোছায়া’ ধারাবাহিকে গল্পের শুরুটা ছিল, মা-বাবার আদরের মেয়ে আলো। ১০ বছরের মেয়েটি ভাবে, বড় হয়ে বিজ্ঞানী হবে। ক্যানসারের ওষুধ আবিষ্কার করবে। হঠাৎ সবকিছু পাল্টে যায়। মা-বাবাকে একসঙ্গে হারায়। এরপর তার ঠাঁই হয় অনাথ আশ্রমে। খবর পেয়ে খালা মৈত্রেয়ী আলোকে নিজের কাছে নিয়ে যান।
পরে একই পরিবারে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু ছায়ার জন্য প্রতি পদে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আলোকে।
এরই মধ্যে আলো আর আকাশের জুটি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল টেলি অনুরাগীদের কাছে। আলো-আকাশের সেই রসায়ন দিয়েই শেষ হচ্ছে ধারাবাহিক, বলেন ঐন্দ্রিলা বসু। ‘মাঝে সাত বছরের ব্যবধান ছিল। জনপ্রিয় রকস্টার হওয়ার পর এলোমেলো জীবনযাপন শুরু করেছিল আকাশ। আলোর চেষ্টায় আবার সে সুস্থতার পথে ফিরবে।’ যোগ করেন ঐন্দ্রিলা।
আকাশ আবার আগের মতো গান গেয়ে মঞ্চ মাতাচ্ছে। ফিরে এসেছে আলোর কাছে- এ দৃশ্য দিয়েই শেষ হবে ধারাবাহিক ‘আলো ছায়া’।