ঢাকা: কলকাতার মেয়ে দেবাদৃতা বসু। মাত্র আট বছর বয়সে নাটকের মঞ্চে ওঠেন তিনি। দেবাদৃতার বাবা মঞ্চ নাটকের অভিনেতা ছিলেন। বাবার হাত ধরেই ‘হযবরল’ নাট্যদলে অভিনয় শুরু করেন। শেখেন নাচও। বাবার ইচ্ছাতেই জি বাংলায় অডিশন দিতে আসেন দেবাদৃতা। তখন তাঁর স্কুলবয়স।
জি বাংলা তখন নতুন ধারাবাহিকের পরিকল্পনা করছে। এক মহিলা ফুটবল খেলোয়াড়ের গল্প। নাম ‘জয়ী’। প্রথম অডিশনেই বাজিমাত করেন দেবাদৃতা। সুযোগ পেয়ে যান ‘জয়ী’ ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করার। টিভিপর্দায় দেবাদৃতার সেই শুরু।
পরপর দুইটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন দেবাদৃতা। চেয়েছিলেন, ‘একটু বিরতি চাই এবার।’ কিন্তু ছুটি সে তো সোনার হরিণ! বিশেষ করে যখন তিনি টিভিপর্দার জনপ্রিয় মুখ। দেবাদৃতাকে তাই এবার দেখা গেল অন্য চ্যানেলে, স্টার জলসায়। কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে।
কথিত আছে, পরবর্তীতে রবিদাসের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে বৃন্দাবনে চলে যান মীরাবাঈ। বারো শ থেকে তের শ ভজন রচনা করেছিলেন তিনি। এই গানগুলো সারা ভারতে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’য় তাঁর ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ছোটপর্দার ‘ভুতু’, শিশুশিল্পী আরশিয়া মুখোপাধ্যায়। কৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রারব্ধি সিংহ। এর আগে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ ধারাবাহিকে শুভর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
স্টার জলসায় আগামী মে মাস থেকে প্রচার হবে ধারাবাহিক ‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’।
সূত্র: বলিউড লাইফ, টাইমস অব ইন্ডিয়া।